বার বার বেল বাজিয়ে ‘স্টপ স্টপ’ বলে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলেই অভিযোগ। নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়ে নিজের ‘অপমানে’র কথা এভাবেই তুলে দরেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বাংলার দাবি সহ বাজেট বঞ্চনার কথা নীতি আয়োগের বৈঠকে তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। সরব তৃণমূল। এবার সেই ‘অপমানে’র আঁচ পড়তে চলেছে রাজ্য বিধানসভায়। সূত্রের খবর, সোমবার রাজ্য বিধানসভায় জিরো আওয়ারে এই নিয়ে আলোচনা হতে পারে। থাকতে পারেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভায় তৃণমূলের প্রতিবাদের ঝড় উঠতে পারে। প্রতিবাদে শোরগোল ফেলতে পারে বিরোদী বিজেপি বিধায়করাও। তাই সপ্তাহের শুরুর দিনই উত্তাল হতে পারে বিধানসভা অধিবেশন।
পাড়ায় দাদাগিরি, মহিলাকে ঠাটিয়ে চড়! তৃণমূল নেতাকে জেলে ঢোকাল পুলিশ
নীতি আয়োগের বৈঠকে অংশ নিলেও, তাঁর কণ্ঠরোধের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মমতা। শুক্রবারই মমতা বলেছিলেন, ‘আমি আমার বক্তব্য রেকর্ড করাতে বৈঠকে যোগ দিচ্ছি। বলতে না দিলেই বেরিয়ে চলে আসব।’ কার্যক্ষেত্রে হলও তাই। শনিবার বৈঠকের শুরুতে প্রায় ২০ মিনিট বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একে একে মুখ্যমন্ত্রীদের বলতে দেওয়া হয়। মমতা বঞ্চনার কথা তুলে ধরতেই বৈঠকের তাল কাটে। ফলে ৫ মিনিটেরও বেশি মমতাকে বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও এ রকম কিছু ঘটেনি বলেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ ও নীতি আয়োগ কর্তা।
সবজি বাজার আগুন, মহার্ঘ মাছ-মাংস, মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ
সংসদ এবং বিধানসভায় সময়ের অতিরিক্ত বলতে গেলে সাধারণত মাইক বন্ধ করে দেওয়ার রীতি আছে। কিন্তু নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা বন্ধ করে দেওয়া নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই চূড়ান্ত ‘অপমানিত’ হয়ে নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর ‘অপমানে’র প্রতিবাদে রাজ্যে দিকে দিকে প্রতিবাদে নামেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সোমবার তার আঁচ পড়তে পারে বিধানসভায়।
ভোট মিটতেই নিজের কেন্দ্রেই হারলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়!খেলা শুরু তৃণমূলের