গড়িয়াহাটে দে’জ মেডিক্যালের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

গড়িয়াহাটের দে’জ মেডিক্যালের কারখানায় শনিবার আগুন লেগে যায় (Gariahat)। বিকেল ৪ তে নাগাদ এই আগুন লাগে বলে দমকলের তরফে জানানো হয়েছে। আগুন লাগার কারণ কি…

gariahat fire kolkata

গড়িয়াহাটের দে’জ মেডিক্যালের কারখানায় শনিবার আগুন লেগে যায় (Gariahat)। বিকেল ৪ তে নাগাদ এই আগুন লাগে বলে দমকলের তরফে জানানো হয়েছে। আগুন লাগার কারণ কি তা এখনো পরিষ্কার নয়। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন তড়িঘড়ি ছুটে যায় কারখানাটিতে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন হঠাৎ ই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক এবং তারা আবিষ্কার করেন কারখানাটিতে আগুন লেগে গিয়েছে। দমকল তরফ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়, এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যায় যে দে’জ মেডিক্যালের কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ধোঁয়া দূর থেকেও দৃশ্যমান হয়। খবর পাওয়ামাত্র দমকলের সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।

   

দমকল কর্মীদের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে, তবে আগুনের বিস্তৃতি এবং কারখানার অভ্যন্তরে থাকা দাহ্য পদার্থের কারণে কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে জানা গেছে। দে’জ মেডিক্যাল কারখানাটি চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির জন্য পরিচিত। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রমে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়াও, স্থানীয় বাসিন্দারা ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ও দমকল বিভাগ যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে এবং এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তবে কারখানার কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে।

Advertisements

এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, এবং তারা দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। দমকল বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। এই ঘটনা শহরের শিল্প এলাকায় অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশ্ন তুলেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোতে নিয়মিত নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন। তদন্তে আগুনের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ পেলে পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হবে।