আরজি করে কাণ্ডে (RG Kar Protest) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিদিনই প্রায় হাজার হাজার মানুষ পথে নামছেন। এবার মঙ্গলবার সেই বিচারের দাবি নিয়েই রাজপথে নেমে এলেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর জি করের ঘটনায় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’-এর স্লোগান তুললেন। তবে শুধু নির্যাতিতার বিচারের দাবিই নয়, সেইসঙ্গে নিজেদের নিয়োগ সংক্রান্ত দাবিও তুলে ধরলেন তাঁরা।
এদিন সেই মিছিলেই তাঁরা দাবি করেন, রাজ্যে বিভিন্ন সরকারি বিভাগে স্বচ্ছ নিয়োগ যাতে এবার থেকে শুরু হয়। তাঁদের বক্তব্য, ন্যায় বিচার বা ‘জাস্টিস’ তো তাঁরাও এখনও পাননি। সেইসঙ্গে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, যোগ্য প্রার্থীরা আর কত দিন এভাবে রাস্তায় কাটাবেন? স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা হওয়ার পাশাপাশি সঠিক নিয়মে নিয়োগের দাবিও তুলেছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা ৷
তাঁদের দাবি, রাজ্যের পুলিশ বাহিনীতে সঠিক নিয়োগ না হওয়ার কারণেই বর্তমানে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে ৷ সেই জন্যই আজ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এরকম নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটছে। চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, রাজ্য সরকারের এত প্রকল্প চলার পরেও কেন নিয়োগ এত কম? সেইসঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন, সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রাথমিকে টেট-উত্তীর্ণদের ৫০ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ করবে সেই প্রতিশ্রুতি কবে পূরণ হবে?
এদিনের মিছিলে মুখে কালি মেখে অংশ নিয়েছিলেন ২০২২ সালের টেট-উত্তীর্ণ বীরভূমের মৃন্ময় মণ্ডল। তিনি বলেন, “আমাদের প্রতি সরকার যে বঞ্চনা করছে, সেই বঞ্চনার কালিই মুখে মেখেছি। বহু বছর অপেক্ষার পরে টেট হল ২০২২ সালে। পাশ করলাম। কিন্তু নিয়োগের কোনও বিজ্ঞপ্তি নেই। আর কবে নিয়োগ হবে?” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শিয়ালদহ থেকে মিছিল শুরু হয়ে মৌলালী দিয়ে এস এন ব্যানার্জি ধরে সোজা আসে ধর্মতলার দিকে ৷
ধর্মতলায় পুলিশ সেই মিছিল আটকে দিলে কলকাতা পুরনিগমের কাছে এলিট গেটের সামনে শেষ হয় চাকরিপ্রার্থীদের সেই মিছিল। এদিন মিছিলে পা মিলিয়েছেন টেট পাস, এসএসসি, এসএলএসটি, পিএসসি, ডব্লুইউবিটি, ডব্লুইবিপি, আইসিডিএস, মেডিক্যাল-সহ একাধিক বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীরা মিছিল করে শেষে ডোরিনা ক্রসিংয়ে এসে মানব-বন্ধন করেন।