৮৬ শতাংশ বাঙালির বাস রাজ্য বাংলার রাজধানী কলকাতায়। তাই কলকাতা পুরসভার চাকরি ও কাজে বাঙালি তথা ভূমিপুত্রদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে৷ পাশাপাশি আরও চার দফা দাবিতে কলকাতা পুরসভার পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষর প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর (Bangla Pokkho) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা। পুর কমিশনারের সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয় দাবিগুলো নিয়ে।
মূলত যে বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন বহু মানুষ কলকাতায় আসেন।কিন্তু কলকাতার বিভিন্ন রাস্তার নাম ফলকে বাংলা না থাকায় তারা রাস্তার নাম পড়তে পারেন না। একই ভাবে কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বাংলা না থাকায় সাধারণ মানুষের কাছে সেগুলি অবোধ্য হয়ে থাকে। কলকাতার প্রতিটি সরকারি, বেসরকারি নাম ফলক ও বিজ্ঞাপনের বোর্ডে বাধ্যতামূলক ভাবে সব থেকে বড় অক্ষরে বাংলা রাখতে হবে। কলকাতা পুরসভার এই বিষয়ে নির্দেশ থাকলেও বাস্তবে অনেকক্ষেত্রেই সেটি মানা হয় না।
একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, কলকাতার বুকে ব্যাপক ভাবে ‘হকার’ বেড়ে যাওয়ায় নাগরিকদের জন্য জটিল সমস্যা সৃষ্টি করেছে। হকার লাইসেন্স বা কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত ব্যবসায়ী রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা কিনা, তার আবশ্যিক পরীক্ষা করার আবেদন জানাল বাংলা পক্ষ।তাঁদের দাবি, একমাত্র রাজ্যের ভূমিপুত্রদেরই রাজধানী শহরের ফুটপাতে ব্যবসা করা অধিকার দেওয়া হোক। হকাররা যেন বাংলা ভাষা বলতে, লিখতে ও পড়তে সক্ষম হয় আবশ্যিক ভাবে সেই দিকে নজর দেওয়া হোক।
আরও বলা হয়েছে, পুরসভার চতুর্থ শ্রেণীর চাকরি সহ সমস্ত পদগুলি শুধুমাত্র ভূমিপুত্রদের জন্য সংরক্ষণ এবং প্রতিটি চাকরির ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানায় বাংলা পক্ষ।
ডেপুটেশনে বলা হয়েছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরসভা কর্তৃক ডোমেসাইল সার্টিফিকেট প্রদানের সময় ডোমেসাইল সার্টিফিকেট আবেদনকারীর সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবেই ডোমেসাইল সার্টিফিকেট প্রদান করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে৷ তাঁরা আশা করেন, যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন এবং দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কলকাতা পুরসভা।