Nepal: প্রবল বন্যা ও ভূমিধসে নেপালে শতাধিক মানুষের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক: হিমালয়ে দুর্যোগের কারনে নেপালেও প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে। একাধিক ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে এই দেশে। বন্যা ও ভূমি ধসের কারণে নেপালে এখনও পর্যন্ত শতাধিক…

flood danger and landslides

নিউজ ডেস্ক: হিমালয়ে দুর্যোগের কারনে নেপালেও প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে। একাধিক ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে এই দেশে। বন্যা ও ভূমি ধসের কারণে নেপালে এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে শনিবার জানানো হয়েছে, প্রবল বৃষ্টিতে বহুগ্রাম সম্পূর্ণ জলবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘরবন্দি মানুষকে দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।

কাঠমান্ডু প্রশাসন জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশের ১৯ টি জেলা বন্যা কবলিত । ভেসে গিয়েছে কয়েকশো গ্রাম। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে প্রবল গতিতে জল গড়িয়ে আসার কারণে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে।

শনিবার দুপুর পর্যন্ত বন্যা ও ভূমিধসে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ৫০ জনের বেশি। ৪১ জন মানুষের কোনও খোঁজ মিলছে না। রাস্তাঘাট জলের তলায় চলে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে উদ্ধারের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

ভয়ঙ্কর এই বন্যায় একাধিক এলাকায় উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে বহু জায়গাতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন। বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জল সরবরাহ সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি ও উদ্ধারকাজ নিয়ে আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে পশ্চিম নেপালের বেশ কিছু গ্রাম সম্পূর্ণ ভেসে গিয়েছে। চাষের জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসলেরও বড় মাপের ক্ষতি হয়েছে।

ইতিমধ্যেই পাহাড়ের গায়ে বসবাসকারী মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃষ্টি চলতে থাকায় প্রতিমুহূর্তে ধস নামছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে নেপাল সরকার।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পশ্চিম নেপালের বহুগ্রাম জলের স্রোতে কার্যত ভেসে গিয়েছে। ওই সব গ্রামে খাবার ও পানীয় জল কোনও কিছুই মিলছে না।

সড়ক পথ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকারীরা দ্রুত ওই গ্রামগুলিতে যেতে পারছেন না। রেল ও বিমান পরিষেবা আবহাওয়ার কারণে বন্ধ রয়েছে। বিরাটনগর বিমানবন্দরের রানওয়ে জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে অন্তর্দেশীয় বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয়েছে তুষারপাত। শুক্রবার বিকেল থেকে উচ্চ পার্বত্য এলাকাগুলিতে তুষারপাত শুরু হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী দু’দিন এই বৃষ্টি চলবে। একই সঙ্গে পাহাড়ি এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। পাহাড়ের ঢালে বসবাসকারী মানুষকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করেছে প্রশাসন