২১ জুলাই সমাবেশের পাশে ডিএ ধর্না মঞ্চের বিক্ষোভ

২১ এর মঞ্চ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ডি-এর দাবিতে ১৭৬ দিন ধরে আন্দোলনে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। ২০২৪ -এর আগে শেষ তৃণমূলের শহিদ দিবস। দাবি মেটেনি। সদুত্তর…

২১ এর মঞ্চ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ডি-এর দাবিতে ১৭৬ দিন ধরে আন্দোলনে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। ২০২৪ -এর আগে শেষ তৃণমূলের শহিদ দিবস। দাবি মেটেনি। সদুত্তর নেই শাসক দলের‌। ডিএ মঞ্চ থেকে বলা হয়েছে, আলোচনায় বসতে চাননি শাসকদল। সেখানকার একজন দাবিদারের কথায়, সরকার মানুষের অধিকার হরণ করতে করতে লাগামহীন হয়ে যায়, তখন একটা রাজ্য প্রশাসনের কী অবস্থা হয় তা মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভালোভাবে জানে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার কর্মচারীদের অধিকার প্রাপ্য মেটাতে ব্যর্থ। সেখানে সাধারণ মানুষের কোনো অধিকার থাকতে পারেনা।

ডিএ মঞ্চের হাতের নাগালে জমায়েত, এত ভিড়, এত রান্না এ প্রসঙ্গে এক ডিএ প্রাপক বলেন, সরকার মানুষের নূন্যতম জীবনধারণের জন্য তার ওপর নির্ভরশীল করে রেখেছে‌। তারই প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে আজ। রাজ্যের সমস্ত মানুষের সব অধিকার চুরি করা হচ্ছে‌।

   

এদিকে সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক মহলের আলোচনা, সমাবেশের আগে তৃণমূল দলীয় নেতাদের প্রায় সবাই চিন্তিত। গতবারের কথা উঠছে প্রতি মুহূর্তে। আলোচনা উঠলেই আঁতকে উঠছেন নেতারা। গতবছর একুশে জুলাই সমাবেশের পরেই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ততকালীন টিএমসি মহাসচিব ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বান্ধবী সহ গ্রেফতার হন। টাকার পাহাড় উদ্ধার হতে থাকে। সেই তদন্তের রেশ ধরে একাধিক টিএমসি বিধায়ক, শিক্ষা দফতরের আমলা, প্রাক্তন অফিসাররা হেফাজতে আছেন।

নিয়োগ দুর্নীতি, গোরু পাচার, কয়লা পাচার সহ বিভিন্ন ইস্যুতে জর্জরিত শাসকদল তৃণমূল। জেরা এড়িয়েছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। আইনজীবীরা বলছেন, ফের জেরার মুখোমুখি হতে পারেন তৃ়ণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও অনেকে আছেন দুই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার নজরে। তারা কি গতবারের মতো এবারও একুশের পরেই বিশেষ সক্রিয় হবে? একুশ জুলাই সমাবেশে জমাট হয়ে আছে বাইশের ভয়।