DA Protest: ডিএ বাড়লেও বিক্ষোভ চলছে, ‘পারলে গুলি চালাক’ হুমকি

নবান্নের সামনে ডিএ আন্দোলনকারীদের ধর্নায় সিঙ্গল বেঞ্চের অনুমতিকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। সেখানেই ধাক্কা খেল রাজ্য। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের…

DA Protest

নবান্নের সামনে ডিএ আন্দোলনকারীদের ধর্নায় সিঙ্গল বেঞ্চের অনুমতিকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। সেখানেই ধাক্কা খেল রাজ্য। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে ডিএ আন্দোলনকারীদের ধর্না কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়। শনিবার বিকাল চারটে পর্যন্ত নবান্নের সামনে ধর্নায় (DA Protest)বসতে পারবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।

ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে আন্দোলনকারীদের বলে দিয়েছে, কোনও অবমাননাকর ও প্ররোচনামূলক মন্তব্য করা যাবে না। মূলত আন্দোলনকারীদের ধরনা কর্মসূচি ছিল ২২-২৪ তারিখ পর্যন্ত। কিন্তু যেহেতু উৎসবের মরশুম, তাই এই কর্মসূচি দীর্ঘস্থায়ী করা যাবে না। শুনানির সময়ে এজি কিশোর দত্ত বলেন, “সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে অনুমতি দেওয়া হলেও তার সঙ্গে সহমত নয় রাজ্য। আরও অন্যান্য জায়গা আছে। সাধারণত এখানে ধর্না হয় না। পরিবহন দফতরের জায়গা। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর করবে বলে অনুমতি পেয়েছেন আন্দোলনকারীরা।”

এক আন্দোলনকারী বলেন, “এই জয় আমাদের আন্দোলনের জয়। প্রধান বিচারপতি বুঝতে পেরেছেন, আমাদের দাবির মধ্যে অন্যায্য কিছু নেই। সরকারের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে।” অপর এক সরকারি কর্মচারী বলেন, “সরকারের তরফ থেকে বারবার আমাদের প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছিল। আমাদের যে জায়গায় ধরনায় বসার কথা ছিল, সেখানে বসতে দেওয়া হল না। সেখান থেকে তুলে দেওয়া হল। আমাদের এখানে বসিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ মাইকিং করে আমাদের প্ররোচনা দিচ্ছিল। আদালতের ওপর আমাদের ভরসা ছিল।”

আন্দোলনকারী বলেন, “ওঁরা যা ধাঁতানি খেয়েছেন, আগামী দিনে ওঁদের চাকরি থাকবে কিনা সন্ধিহান। পুলিশ আমাদের মারাত্মক প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ওরা বলছে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের দেখাক ৫ কিলোমিটারের মধ্যে একজন সাধারণ মানুষ রয়েছেন। ওদের অভিযোগ করল কে? ১৪৪ ধারা থাকলে এত গাড়ি চলছে, আওয়াজ হচ্ছে না? গুলি মারলে মারুক, আমরা সরব না।”

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই চার শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এটাকে ভিক্ষা হিসাবে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা। নবান্নের সামনে ধরনা কর্মসূচি আগেই নিয়েছিলেন তাঁরা। সিঙ্গল বেঞ্চে তাতে অনুমতিও দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। সেখানেও ধাক্কা খেল রাজ্য।