তৃণমূল সাংসদ ও মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জিকে বাঁচানোর জন্য ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এসএসকেএম হাসপাতালে টানা ভর্তি রেখে তাঁর কণ্ঠস্বর বদলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন CPIM রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বুধবার তিনি এমন দাবি করেন। তাঁর এই দাবির পর রাজনৈতিক মহল সরগরম। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বিভিন্ন অভিযুক্তের ফোন থেকে যে কল রেকর্ড উদ্ধার হয়েছে তার কণ্ঠস্বর সুজয়কৃষ্ণের কিনা তা মিলিয়ে দেখতে চাইছে ইডি। তবে চিকিতসাধীন ‘অসুস্থ’ সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা পায়নি ইডি।
গত ১৮ অক্টোবর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থা জানতে এসএসকেএম হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট করেছিল ইডি। SSKM হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। তিন মাস আগে সুজয়কৃষ্ণের অস্ত্রোপচার হলেও তাকে কেন হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে সেব্যাপারে হাসপাতালের কাছে যাবতীয় রিপোর্ট চেয়েছে ইডি।
কেন এতদিন হাসপাতালে কালীঘাটের কাকু? প্রশ্ন তুলেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জি আরএসএস’কে ধরে পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিষেক ব্যানার্জিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। ভাইপোকে বাঁচানোর জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গলার স্বর পালটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিশেষ পদ্ধতিতে। যে পদ্ধতিতে ধর্ষণের মতো অপরাধেরও রিপোর্ট পালটে দেওয়া হয়, সেইরকম কারচুপির বন্দোবস্ত হচ্ছে।
‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস্-এর কর্মী ছিলেন।এই সংস্থার ডিরেক্টর অভিষেক ও মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়রা। অ়ভিষেককে সুজয়কৃষ্ণ ‘সাহেব’ বলেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন তাঁর ‘সাহেব’ অভিষেক ব্যানার্জিকে কেউ ছুঁতে পারবে না। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডি এক ঘণ্টার জেরা করে অভিষেককে ছেড়ে দেয়।