বুদ্ধবাবুর অক্সিজেন মাত্রা বাড়ছে, ‘উদ্বিগ্ন প্রকাশ করছি না’ বললেন সেলিম

বুদ্ধবাবুর রক্তে বাড়ল অক্সিজেন মাত্রা। এমনই জানা যাচ্ছে উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে। তাঁর চিকিৎসার জন্য বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সংকট কাটবে বলেই আশা করছেন…

Buddhadeb Bhattacharya will not accept the Padma award

বুদ্ধবাবুর রক্তে বাড়ল অক্সিজেন মাত্রা। এমনই জানা যাচ্ছে উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে। তাঁর চিকিৎসার জন্য বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সংকট কাটবে বলেই আশা করছেন সবাই। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, উনি দীর্ঘ সময় ধরেই অসুস্থ। চিকিৎসকরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি। তাঁর চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা উদ্বিগ্ন প্রকাশ করছি না যেমন আবার তেমন কোনও রিস্কও নিতে চাইনি।

সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকের মন্তব্যের পর রাজ্য জুড়ে বাম সমর্থক ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গুণমুগ্ধরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৭০-এর নেমে গিয়েছিল। আপাতত সেই মাত্রা উর্ধমুখী। তবে সিওপিডি পেশেন্ট বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, তাই তাঁর সংকট এখনই কেটেছে তা বলা যাবে না। এমনই মনে করছেন চিকিৎসকরা। এমনিতেই বুদ্ধবাবুকে সর্বক্ষণ অক্সিজেন নল নিয়ে থাকতে হয়। তাঁর চিকিৎসার চলে বাড়িতে।

   

শনিবার সকাল থেকেই অসুস্থতা বাড়ছিল বুদ্ধবাবুর। তবে তড়িৎ কোনও সিদ্ধান্ত নেননি তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি দেখে তারা আর ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেন। দক্ষিণ কলকাতা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। হাসপাতালে আসেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য এবং কন্যা সুচেতনা। আইসিইউতে ভর্তি করা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।

বেশ কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতা বাড়ছিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বলেই জানা গিয়েছে। এতদিন বাড়িতেই চলছিল চিকিৎসা। তবে এদিন তাঁর শরীরের স্যাচুরেশন নামতে শুরু করে। তিনি দীর্ঘদিনের সিওপিডি রোগী, এরপর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্বাসকষ্টের সমস্যা গত প্রায় ১৫ বছরের বেশি। একসমের চেইন স্মোকার নাট্যমোদী-সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অসুস্থতার কারণ সিওপিডি। তাঁর শ্বাসকষ্টের জন্য অক্সিজেন লাগে বেশিরভাগ সময়। ব্রিগেডে সর্বশেষ দলীয় সমাবেশে গিয়েও মঞ্চে উঠতে পারেননি তিনি। এর পর থেকে আর রাজনৈতিক কোনও বিষয়েই তিনি ছিলেন না। দলের কাছে বার্তা পাঠিয়ে সবকিছু থেকে অব্যাহতি নিয়ে নেন।

সর্বক্ষণ অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়ে থাকতে হয় বাড়িতে। পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এ রাজ্যে দায়িত্ব নিয়ে এসেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সাথে দেখা করেছিলেন। তখনই তাঁর সাদামাটা ঘরের ছবি দেখেছিলেন রাজ্যবাসী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে তাঁর সাথে দেখা করেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সারাক্ষণ একটি পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে তাঁর নাকে নল লাগানো থাকে। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এ ব্যাপারে তাঁর পরিবারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর চিকিৎসার বিশেষ ব্যবস্থাও করতে চেয়েছিলেন মমতা। কিন্তু বুদ্ধদেববাবু বাড়ি ছেড়ে পারতপক্ষে হাসপাতালে যেতে রাজি হননি কখনও।