CPIM: ১০২ বছর বয়সেও চনমনে সিপিআইএম সমর্থক! দলীয় দফতরে এসে অর্থ সাহায্য করলেন

১০২ বছর বয়সী CPIM সমর্থক রবীন্দ্রকুমার নাগ নিজেই এসেছিলেন। দলীয় দুই শাখা সংগঠন SFI ও DYFI তহবিলে অর্থ সাহায্য করেছেন। বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মীরা দেখলেন…

১০২ বছর বয়সী CPIM সমর্থক রবীন্দ্রকুমার নাগ নিজেই এসেছিলেন। দলীয় দুই শাখা সংগঠন SFI ও DYFI তহবিলে অর্থ সাহায্য করেছেন। বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মীরা দেখলেন শতবর্ষী এমন এক সমর্থককে যিনি চলনে বলনে যুবক। বয়স একশ পার করলেও নো পরোয়া!

বয়সে সিপিআইএমের থেকেও প্রবীণ রবীন্দ্রকুমার নাগ। ১৯৬৪ সালে CPI ভেঙে CPIM তৈরি হয়েছিল। বয়সের হিসেবে রবীন্দ্রবাবু তখন বছর ৪৩ এর ব্যক্তি। তারপর দীর্ঘ চৌত্রিশ বছর বাম শাসন হয়ে গেছে বঙ্গে। রবীন্দ্রবাবু বয়সের শতবর্ষ সীমানা পার করে গেছেন নীরবে। দল আর রাজ্য সরকারে নেই। এমনকি রাজ্যের বিধানসভাতেও নেই। রবীন্দ্রবাবুর মতো সমর্থকরা দলের পাশে আছেন। তিনি শতবর্ষ পার করেও গটগটিয়ে এলেন ও অর্থ সাহায্য করলেন। সিপিআইএম অবাক।

ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শতবর্ষ পার হয়ে গেছে। সিপিআই থেকে সিপিআইএমের ভাঙন পরে আরও উগ্র বাম ভাঙন হয়ে গেছে। ১০২ বছর বয়সী রবীন্দ্রকুমার নাগ এই রাজনৈতিক ঘটনাক্রমের বড় অংশের সাক্ষী। তিনি টালিগঞ্জ নিবাসী। সিপিআইএম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার এই শতায়ু ব্যক্তি নিজেই দলীয় রাজ্য দফতর মুজফ্ফর আহমদ ভবনে আসেন। রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তাঁকে স্বাগত জানান। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী রবীন্দ্রবাবু তাঁর সঞ্চিত অর্থ থেকে ৩০ হাজার টাকা দল, ছাত্র ও যুব সংগঠনের তহবিলে পৃথকভাবে দান করেন।

সিপিআইএম সূত্রে খবর, শতবর্ষ পার করা দলীয় সমর্থক রবীন্দ্রকুমার নাগের সাথে দেখা করতে তাঁর বাড়ি টালিগঞ্জের পূর্ণচন্দ্র মিত্র লেনে সেলিম নিজে যেতে চেয়েছিলেন। তবে ১০২ বছরের রবীন্দ্রবাবু নিজেই দলীয় দফতরে চলে আসেন। সবাই অবাক হয়ে যান। তিনি সবার সাথে খানিক্ষণ গল্প করেন। শতবর্ষ পার করেও এমন সতেজ এক সমর্থককে দেখে সিপিআইএম ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতারা হতবাক হয়ে যান।