আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) দীর্ঘদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর কিছুদিন আগে সেই কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরে সিবিআইয়ের কাছে জেল হেফাজতে ছিলেন তিনি। সোমবার আদালতে ধৃতদের আইনজীবীর তরফে জামিনের আবেদন করা হলে তা সরাসরি খারিজ করে দেয় আদালত।
এরপর আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সন্দীপ ঘোষ সহ চার জনের জামিন খারিজ করে আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনই তাঁদের জামিন মঞ্জুর হচ্ছে না। কারণ আদালত মনে করছে ধৃতেরা যেহেতু প্রভাবশালী তাই এই মুহূর্তে জামিন পেলে তাঁরা প্রমান লোপাট করতে পারে। তাই তাঁদের আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে এর আগে সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এই মামলায় চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে, টালা থানার এসআইকে সিজিওতে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত করেছিলেন যে চিকিৎসক সেই অপূর্ব বিশ্বাসকেও ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার এই ঘটনায় সিজিও কমপ্লেক্সে নির্মল ঘোষকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। তবে শুধু এই মামলাতেই নয়, এর পাশাপাশি আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলাতেও এর আগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছে সেখানকার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তখন তাঁকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত।
আর এই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপের সঙ্গে আরজি করের দুই ভেন্ডার এবং সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এবার আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সন্দীপ সহ চারজনের জামিন খারিজ করল আদালত।