এবার মমতা-বিনীতের পলিগ্রাফ টেস্ট? তুলকামাল শহরে চাঞ্চল্যকর দাবি বিজেপির

আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও পলিগ্রাফ টেস্টের মুখোমুখি হতে হবে কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা। এসবের…

Conduct polygraph test on Mamata Banerjee and Vineet Goel BJP on Kolkata rape-murder, এবার মমতা-বিনীতের পলিগ্রাফ টেস্ট?

আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও পলিগ্রাফ টেস্টের মুখোমুখি হতে হবে কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা। এসবের মধ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের দাবি তুলল বিজেপি। একই দাবি করা হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধেও। নবান্ন অভিযান কর্মসূচি ঘিরে মঙ্গলবার কলকাতা ও হাওড়ায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয়। আন্দোলনকারীদের রুখতে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করে। যার বিরুদ্ধে সোচ্চার বিজেপি। পুলিসের দমন-পীড়নের জন্য পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ দিন ‘স্বৈরাচারী’ বলেও কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যা ঘটছে তা উদ্বেগজনক। এটা সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করার শামিল। এটা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, দেশে যদি কোনও ডাক্তার থেকে থাকেন তবে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ ভাটিয়া দাবি করেছেন যে, ‘পুলিশ কমিশনার ধর্ষণ ও হত্যাকে আত্মহত্যা বলেছিলেন। এত বড় মিথ্যার জন্য তাঁরও পদত্যাগ করা উচিত এবং তদন্তের মুখোমুখি হওয়া উচিত।’

   

পদ্ম শি্বিরের মুখপাত্রের সংযোজন, ‘সত্য সামনে আসবেই। মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সত্যতা নিশ্চিত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশ কমিশনারের একটি পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা উচিত।’

শহরজুড়ে ধুন্ধুমার, তার মাঝেই আরজি কর কাণ্ডে বড় স্বীকারোক্তি কলকাতা পুলিশের!

এ দিকে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন যে, পুলিশ ‘নবান্ন অভিযানে’ শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণকারীদের উপর ‘নিষ্ঠুর দমন’ চালিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের ‘বর্বরতা’ বন্ধ না হলে তিনি পশ্চিমবঙ্গকে অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

ব্রেকিং: নবান্ন অভিযানে পুলিশের বাইকে আগুন ধরাল আন্দোলনকারীরা, আকাশ ছেয়েছে কালো ধোঁয়া

রাজ্য বিজেপির এক সিনিয়র বিজেপি নেতা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘পুলিশ সাঁতরাগাছিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর জলকামান ব্যবহার করছে, হাওড়া ব্রিজে ছাত্রদের উপর টিয়ার গ্যাসের শেল ফেটেছে, কলেজ স্ট্রিটে তাদের লাঠিচার্জ করেছে। এই নৃশংসতাই মমতার শেষের শুরু।’

গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হলের ভেতরে এক তরুণী চিকিৎসকরে দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ওই চিকিৎসক ৩৬ ঘণ্টা কাজের পর ঘুমাতে গিয়েছিলেন। খবরে প্রকাশ, হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রাথমিকভাবে বলেছিলেন এই ঘটনা আত্মহত্যা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। ধৃত সঞ্জয় রায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাতে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে জেরা করছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগেরও তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। এই ডাঃ সন্দীপ ঘোষই পদ থেকে ইস্তফার কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফের অন্যত্র এই পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। যা ঘোষণা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।