বিজেপির ওয়াকআউটে মমতার প্রশ্ন ‘পালিয়ে গেলেন কেন?’

বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনার দাবি চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেয় বিজেপি। সেই আলোচনা চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। মমতা…

বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনার দাবি চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেয় বিজেপি। সেই আলোচনা চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা তোলেন।

বিধানসভায় একুশের নির্বাচনের কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, “নন্দীগ্রামের কথা ভুলে গিয়েছেন? নন্দীগ্রামের রেজাল্ট কী করে বদলে গেল লোডশেডিংয়ে? ভুলে গিয়েছেন? এত গায়ে লাগছে কেন?”
মমতার এই বক্তব্যের পরই বিধানসভার অধবেশন কক্ষে বিজেপি বিধায়করা হইচই শুরু করে দেন। এরপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বাইরে বেরিয়ে এসে হাতে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।

   

কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় ওয়াক আউট প্রসঙ্গে বলেন যে এই প্রথমবার স্পিকার মুলতুবি প্রস্তাবের অনুমতি দেন। তিনি বলেন যে পঞ্চায়েত ভোটে লাগামহীন সন্ত্রাস হয়েছে, ভোট লুঠ হয়েছে। এরপর তিনি অভিযোগ করেন যে , “আজ আলোচনার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি থেকে নজর ঘোরানোর জন্য পঞ্চায়েত হিংসা নিয়ে আলোচনা না করে নন্দীগ্রাম ইস্যু নিয়ে আলোচনা করছেন।কিন্তু বিষয়টি হাইকোর্টের বিচারাধীন। সেটি নিয়ে তিনি কীভাবে কথা বলছেন?”

অপরদিকে বিজেপি বিধায়করা ওয়াকআউট করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য থামাননি। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমার তো বলার অধিকার আছে। কী করে দু’ঘণ্টা লোডশেডিং করে রেজাল্ট বদলে গেল? এই নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।“

বিজেপি বিধায়কদের ওয়াকআউট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পালিয়ে গেলেন কেন? কাল দিল্লি থেকে প্ল্যানিং করে এলেন? কী প্ল্যানিং করেছেন, তা পেয়ে গিয়েছি। বলব।“