JU: রাম মন্দির ইস্যুতে যাদবপুর গরম, চলছে স্লোগান যুদ্ধ

রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে অযোধ্যার অনুষ্ঠান লাইভ স্ট্রিমিং করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। স্ক্রিনিংয়ের পক্ষের পড়ুয়ারা গ্রিন জোনে একত্রিত হয়ে বসে, দিতে…

JU

রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে অযোধ্যার অনুষ্ঠান লাইভ স্ট্রিমিং করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। স্ক্রিনিংয়ের পক্ষের পড়ুয়ারা গ্রিন জোনে একত্রিত হয়ে বসে, দিতে থাকেন রাম-রাম স্লোগান। উল্টো দিক থেকে এগিয়ে আসেন বাম ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা। তাদের মুখে “ইনকিলাব স্লোগান”। বাক-যুদ্ধ থেকে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। ক্যাম্পাসের ভিতরেই কার্যত ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

গতকাল জানা যায়, রাম পুজোর আয়োজন করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। দেখানো হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। গান্ধী ভবনের সামনে দুপুর ১২টা ৩০ থেকে স্ক্রিনিং হওয়ার কথা রয়েছে। এ নিয়ে একটি পোস্টার ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে উদ্যোক্তা হিসাবে কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনের নাম নেই। আয়োজক হিসাবে লেখা রয়েছে ‘JU Students’ যা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে তারা এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানেন না। এসএফআই নেত্রী আফরিন বলছেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ম নিরপেক্ষ মনোভাবের পড়ুয়ারা বেশি। একজন ছাত্রের উদ্যোগে এই স্ক্রিনিং হওয়ার কথা। ধর্মীয় উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।”

এভিবিপি নেতা দেবাঞ্জন পাল বলছেন, “যাদবপুরে র‌্যাগিং করা কিছু ছাত্রছাত্রী রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার স্ক্রিনিং আটকাতে চাইছে। রাম মন্দির শুধু হিন্দু নয়, গোটা দেশের আবেগ। সবাই রাম মন্দিরের জয়গান করছে। সেখানে র‌্যাগিং করা যাদবপুরের কয়েকজন কম বয়সী ছেলে স্ক্রিনিং আটকাতে পারবে না।”

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্য হালদার প্রশ্ন তুলেছেন বামেদের ভূমিকা নিয়ে। তিনি বলছেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশিলতার কথা বলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় একটি ধর্মনিরপেক্ষ ক্যাম্পাস। সেখানে ধর্মীয় উস্কানির কোনও স্থান নেই। এই স্ক্রিনিংটা হওয়া উচিত নয়। আমার প্রশ্ন, বাম ছাত্র সংগঠনগুলি এত উদাসীন কেন? সব বিষয়ে যারা আন্দোলন করে, তারা এখন রাস্তায় কোথায়? কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও।”