নিউজ ডেস্ক, লেহ: প্রায় দেড় বছর ধরে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলছে ঠান্ডা লড়াই। দু দেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্কের টানাপোড়েনে একাধিকবার উত্তপ্ত হয়েছে সীমান্তের পরিস্থিতি। এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে ফের একবার লাদাখ সফর করলেন বায়ুসেনা প্রধান বিবেকরাম চৌধুরী। নিজের চোখে লাদাখের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন বায়ুসেনা প্রধান।
সীমান্তের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দু’দেশের শীর্ষ সেনা কমান্ডার পর্যায়ের এখনও পর্যন্ত ১৩টি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সেই বৈঠকে কোন সমাধান সূত্র মেলেনি। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুই দেশের সেনা কমান্ডাররা বৈঠকে বসেছিলেন। কিন্তু সেখানেও কোনও আলোর দিশা দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে প্রহরারত সেনা কর্মীদের মনোবল বাড়াতে বায়ুসেনা প্রধান নিজে গেলেন লাদাখ। খতিয়ে দেখলেন সেনাবাহিনীর পরিকাঠামো ও সুবিধা-অসুবিধা। লাদাখের মত কঠিন এক জায়গায় সেনাবাহিনীকে সব সময় প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করতে হয়। সেই লড়াইটা যাতে সহজ হয় তার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো নির্মাণের আশ্বাস দিলেন বিবেকরাম।
সম্প্রতি লাদাখ, অরুণাচল সীমান্তে একাধিকবার আগ্রাসন দেখিয়েছে লাল ফৌজ। পাশাপাশি পাকিস্তান বরাবরই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের মাথা ব্যথার কারণ। এদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে তালিবান। কাবুলের ক্ষমতা দখলের পরই তালিবান জঙ্গিরা পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সঙ্গে একযোগে কাশ্মীরি জঙ্গিদের মদত জুগিয়ে চলেছে যে কারণে কাশ্মীরে জঙ্গিদের সক্রিয়তাও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বায়ু সেনা প্রধানের লাদাখ সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই চিন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পাঠানো হয়েছে রাফালের মত অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। বাড়ানো হয়েছে সেনার সংখ্যাও। শুধু তাই নয়, কারগিল, দ্রাস, লাদাখের মতো প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে সেনারা যাতে নিরাপদে থাকতে পারেন তার জন্য দ্রুত পরিকাঠামো গড়ে তোলার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। নির্মাণ করা হচ্ছে রাস্তাঘাট। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সীমান্তে দ্রুত উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।