একুশের মঞ্চে বক্তৃতায় সাংঘাতিক ভুল মমতার! এ কী বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো?

ভিড়ে ঠাসা শহিদ সমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মমতার তালে তাল মেলাচ্ছিল জনতাও। উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার…

Mamata Banerjee explained on social media that she did not threaten the doctors and Fonse words have been misinterpreted, ফোঁস-জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি! বিতর্ক বাড়তেই তড়িঘড়ি সাফাই দিলেন মমতা

ভিড়ে ঠাসা শহিদ সমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মমতার তালে তাল মেলাচ্ছিল জনতাও। উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটারদের ধন্যবাদ জানাচ্ছিলেন মমতা। রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ এবং মানিকতলা নাম ঠিকঠাক বললেও তাল কাটল বাগদায় এসে।

বাগদার বদলে মমতা বলে ফেললেন গাইঘাটা। ধন্যবাদ জানালেন গাইঘাটার ভোটারদের। প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনে গাইঘাটা থেকে জিতেছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ভাই সুব্রত ঠাকুর। আর এবার উপনির্বাচন হয়েছিল বাগদায়। ভাষণ চলাকালীন মমতা মুখ ফসকে বাগদার জায়গায় বলে ফেলেন গাইঘাটা।

   

অবশ্য এটাই প্রথম নয়, এর আগেও বাগদায় জায়গায় গাইঘাটার বলে ফেলেছিলেন মমতা। বাগদা কেন্দ্রটি ২০২১ সালে বিজেপি দখলে যায়। পদ্মের টিকিটে জিতেছিলেন বিশ্বজিত দাস। পরে অবশ্য তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এবারের নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর।

‘বিত্তমান নয়, বিবেকবান!’ বড় জয়ের পর ২১শের মঞ্চে শৃঙ্খলার পাঠ মমতার

প্রসঙ্গত, বাগদা এবং গাইঘাটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত হলেও দুটি আলাদা বিধানসভা কেন্দ্র। ৩১২ নম্বর জাতীয় সড়ক বরাবর গেলে এই দুই এলাকার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। ২০০১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত গাইঘাটা কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে ছিল। একুশে সেখানে পদ্ম ফোটে। অন্যদিকে ২০০৬ এবং ২০১১ সালে বাগদায় জেতে তৃণমূল।

একুশের মঞ্চ থেকে দলের নেতাদের উদ্দেশ্য এদিন কড়া বার্তা দেন মমতা। দলের সকল বিধায়ক, কাউন্সিলর, সাংসদ, নেতানেত্রীর উদ্দেশে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, যেন কারও বিরুদ্ধে দল কোনও অভিযোগ না পায়। অভিযোগ পেলে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। আমি চাই আপনারা গরিব থাকুন। তার মানে ঘরে যা আছে, সেটা খেয়ে বেঁচে থাকুন। লোভ করার দরকার নেই।

আগামী তিন মাসেই তৃণমূলের সংগঠনে বড় ঝাঁকুনি! হুঙ্কার অভিষেকের