মমতা সরকারের বড় জয়, সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল কেন্দ্রের, এবার কী করবে CBI?

লোকসভা ভোট মিটতেই এবার বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। এক কথায় কেন্দ্রকে নাকানিচুবানি খাইয়ে শেষ হাসি হাসল বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। আসিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ…

লোকসভা ভোট মিটতেই এবার বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। এক কথায় কেন্দ্রকে নাকানিচুবানি খাইয়ে শেষ হাসি হাসল বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। আসিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের তদন্ত ইস্যুতে কড়া অবস্থান নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বস্তুত, মমতা সরকার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই (CBI) তদন্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা পিটিশনে একটি মামলা দায়ের করেছিল, যেখানে বলা হয়েছিল যে রাজ্য সিবিআই তদন্তের সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করা সত্ত্বেও সিবিআই সেখানে তদন্ত করছে। এবার এ বিষয়ে বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

আজ বুধবারে একই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মামলা আইন অনুযায়ী মেরিটের ভিত্তিতে বিচার হবে। এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তিও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মামলা আইন মেনেই শীর্ষ আদালতে এগোবে। সুপ্রিম কোর্ট মামলাটির রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাথমিক আপত্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। এক কথায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদনকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

   

এদিন বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ এই রায় দেয়। গত ৮ মে দু’পক্ষের শুনানি শেষে রায়দান সংরক্ষিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মমতা সরকারের আবেদন শোনার যোগ্য নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার সুপ্রিম কোর্টে মমতা সরকারের আবেদনের ফের শুনানি হবে। সেপ্টেম্বরে এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগস্টে বিষয়গুলো গঠন করা হবে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বড় ধাক্কা খেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকার।

কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সন্দেশখালিতে মহিলাদের যৌন নির্যাতন, জমি দখল, রেশন কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত সমস্ত মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। বস্তুত, সন্দেশখালি মামলায় মহিলাদের যৌন হেনস্থা, জমি দখল, রেশন কেলেঙ্কারির সমস্ত মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বেঙ্গল হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল।