সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে হাই কোর্টে রাজ্য! চ্যালেঞ্জ জানাল CBI! পালটা যুক্তি এজি-র

কলকাতা: আরজি করে পড়ুয়া চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনে দোষী প্রমাণিত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে নিম্ন আদালত৷ শিয়ালদহ কোর্ট সাজা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই…

cbi opposes wb governments plea in calcutta high court

কলকাতা: আরজি করে পড়ুয়া চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনে দোষী প্রমাণিত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে নিম্ন আদালত৷ শিয়ালদহ কোর্ট সাজা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে যায় রাজ্য সরকার৷ সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন জানানো হয়৷ সরকারের এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানাল সিবিআই৷ সরকার কী ভাবে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আবেদন করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিবিআই আইনজীবী ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার। (cbi opposes wb governments plea in calcutta high court)

রাজ্যের আবেদন আদৌ গ্রহণযোগ্য

তাঁর বক্তব্য, এই মামলায় সরাসরি পক্ষ ছিল না রাজ্য। তা হলে কী ভাবে শিয়ালদহ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হল? আদৌ রাজ্যের আবেদন গ্রহণযোগ্য কিনা, ,সেই প্রশ্নই তুলে দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামী সোমবার এই নিয়ে শুনানি হবে হাই কোর্টে৷ মামলাটি শুনবে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

   

সিবিআই-ও সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিল

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য, সিবিআইও এই মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিল। একই আর্জি ছিল নির্যাতিতার পরিবারের৷ কিন্তু, এই মামলায় সরাসরি যুক্ত তিন পক্ষ সিবিআই, নির্যাতিতার পরিবার বা দোষী নিজে হাই কোর্টের দ্বারস্থ না হলে, রাজ্য কী ভাবে এই আবেদন করতে পারে? রাজ্যের করা মামলার গ্রহণযোগ্যতা কতখানি? 

সিবিআই আইনজীবীর এই যুক্তি মানতে নারাজ রাজ্য৷ অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং সরকারি আইনজীবী (পিপি) দেবাশিস রায়। তাঁদের বক্তব্য, সিআরপিসি ৩৭৭ এবং ৩৭৮ ধারা অনুসারে রাজ্য সরকার আবেদন করতেই পারে। অ্যাডভোকেট জেনারেলের কথায়, তদন্ত এবং আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাজ্য৷ আরজি কর-কাণ্ডে প্রথমে তদন্ত করেছিল রাজ্য পুলিশই৷ পরে মামলাটি সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়। ফলে এক্ষেত্রে রাজ্যের আবেদন গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত৷ 

নির্যাতিতার পরিবার এখনও মামালা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়

আদালত জানাতে চায়, রাজ্যের এই পদক্ষেপ সম্পর্কে নির্যাতিতার পরিবার ওয়াকিবহাল কিনা৷ তাঁদের ছাড়া বিচার প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব নয়৷ আজকের মধ্যে তাঁদের এই মামলা সম্পর্কে অবগত করা যায় কিনা সেটাও জানতে চায় আদালত৷ রাজ্য জানায়, হ্যাঁ, সম্ভব৷ সেই সঙ্গেই রাজ্যের আইনজীবীরা এও জানান, এই রায়ের কপি রাজ্যের হাতে নেই। শিয়ালদহ আদালত সিবিআই, পরিবার এবং অভিযুক্তকে সার্টিফাসেড কপি দিয়েছে। অনলাইনে আপলোড করা নির্দেশনামার ভিত্তিতে এই মামলা করেছে রাজ্য৷