২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে (Shahjahan Sheikh) পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালি এলাকায় রাজনৈতিক অশান্তি তীব্র হয়ে ওঠে। বিশেষ করে সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়ায়, যেখানে দুই বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অবশেষে (Shahjahan Sheikh) সিবিআই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে তদন্ত শুরু করে, এবং ওই মামলার সমস্ত নথি সংগ্রহ করার পর এই পদক্ষেপ নেয়(Shahjahan Sheikh)
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ শাহজাহানসহ মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।(Shahjahan Sheikh) মামলার মধ্যে খুন, তথ্য প্রমাণ লোপাট, দাঙ্গা, অস্ত্র ব্যবহার করে(Shahjahan Sheikh) দাঙ্গা সৃষ্টি, বেআইনি জমায়েত, ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত, অপহরণ এবং অনুমতি ছাড়া অন্যের বাড়িতে প্রবেশের মতো বিভিন্ন অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব ধারায় মামলা রুজু হওয়ার পর তদন্ত দ্রুত গতিতে এগোতে শুরু করেছে(Shahjahan Sheikh)
ঘটনাটি ২০১৯ সালের ৮ জুন সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়ায় ঘটেছিল, যেখানে একই পরিবারের(Shahjahan Sheikh) দুই বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল খুন হন। তাঁদের হত্যার পেছনে স্থানীয় তৃণমূলের হাত থাকতে(Shahjahan Sheikh) পারে বলে অভিযোগ ওঠে, কিন্তু ঘটনার পর পুলিশ কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। এরই মধ্যে, মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু হয় কায়ুম আলি মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীরও। বিজেপি কর্মীদের পরিবারটির তরফে ন্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও, তদন্তে গতি ছিল না। পরে সিআইডি মামলাটি হাতে নেয়, তবে তাতে শেখ শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয়(Shahjahan Sheikh)
ঘটনার চার বছর পর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং নতুন তথ্যের(Shahjahan Sheikh) ভিত্তিতে, মৃতদের পরিবারের সদস্য পদ্মা মণ্ডল সিবিআই তদন্তের জন্য হাই কোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআইকে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। সিবিআই এই মামলাটি নতুন করে হাতে নেওয়ার পর, শেখ শাহজাহানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে(Shahjahan Sheikh)
এফআইআর দায়ের করার পর সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে এবং তদন্তের গতিও(Shahjahan Sheikh) ত্বরান্বিত হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরই তদন্তের গতিতে পরিবর্তন এসেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। সন্দেশখালির রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং উত্থান-পতনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অনেক তথ্য উন্মোচিত হতে পারে(Shahjahan Sheikh)
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির মঞ্চে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র(Shahjahan Sheikh) আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দল বিজেপি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও এই ঘটনাকে এক পলিটিকাল ম্যানিপুলেশন হিসেবে দেখছে। রাজনৈতিক সংঘর্ষের কারণে সন্দেশখালির পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এবং সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে(Shahjahan Sheikh)
শেখ শাহজাহান, যাকে সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ হিসেবে পরিচিত, তার নাম উঠে আসার পর বিষয়টি আরও জটিল হয়ে ওঠে। স্থানীয় একটি রাজনৈতিক মহল দাবি করেছে, শেখ শাহজাহান ছিলেন এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। তবে তার বিরুদ্ধে সরাসরি প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যা সিআইডি চার্জশিটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার পর এখন দেখা যাচ্ছে, এই বিষয়টির দিকে নতুন আলোর সাহায্যে এগিয়ে চলেছে মামলা(Shahjahan Sheikh)
এদিকে, বিজেপি কর্মী নিহতদের পরিবারটির পক্ষ থেকে আইনগত সহযোগিতা এবং পূর্ণ বিচার প্রাপ্তির জন্য সরকার এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক অশান্তি, খুন, অপহরণ এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধের পাশাপাশি এই ঘটনায় এলাকার শান্তি বজায় রাখাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে(Shahjahan Sheikh)
এখন সিবিআই তদন্তের উপর সব দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে এবং রাজ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আরও তদন্তের জন্য সকল ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে(Shahjahan Sheikh)