ভোট শেষ (উপনির্বাচন) সিবিআই আর তেমন আনাগোনা করবে না বলেই মনে করছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। ‘সিবিআই (CBI) মনে হচ্ছে শীতঘুম দেবে এমনই দাবি কিছু নেতার। কেষ্ট দা (Anubrata Mondal) আবার রাজনীতিকে সক্রিয় হয়েছেন।’ এমনই দাবি জেলা তৃণমূলের বিশিষ্ট নেতার। যিনি মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার কাছের লোক।
গোরু পাচার মামলায় সিবিআই জেরার সামনে হাজিরা অবশ্যম্ভাবী ছিল অনুব্রত মণ্ডলের মণ্ড(কেষ্ট দা)। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে ফের অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত ছিনেন চিকিৎসকরা। এর মাঝে আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন হয়। দুটিকে জয়ী টিএমসি। অনুব্রত নিজে দলের তরফে আসানসোলের দায়িত্বে ছিলেন। সিবিআই টানাহেঁচড়ার মাঝে চলে যান হাসপাতালে।
শুক্রবার তিনি ছুটি পেয়েছেন। কলকাতার ফ্ল্যাটে আছেন। জানা যাচ্ছে হাসপাতাল থেকে ‘সুস্থ’ হয়ে ফিরে অনুব্রত মণ্ডল জেলার রাজনীতিকে ফের হুকুম দিতে শুরু করেছেন। তাঁর নির্দেশে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্র অসীম দাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে টিএমসি প্রতিনিধিরা যাচ্ছেন। এই প্রতিনিধি দলে আছেন বোলপুরে বিধায়ক ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী।
মৃত ছাত্র অসীমের বাড়ি নানুরে। তার মৃতদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে মিলেছিল। খুন নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
জেলা থেকে দূরে কলকাতায় নিজের ফ্ল্যাটে বসে বীরভূমের রাজনীতিতে হুকুম চলছে অনুব্রতর। জেলা টিএমসি নেতাদের অনেকেই বলছেন, অনেকদিন কেষ্ট দা জেলায় নেই। এর জন্য হতাশা আসছিল। উনি সক্রিয়, এটাই সুখবর।
এদিকে সিবিআই তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন। কারণ, অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে মরিয়া সিবিআই গত কয়েকদিন ধরে নীরব। আর অনুব্রত হাসপাতাল থেকে বেরিয়েছেন।সিবিআই কি আবার ডাক পাঠাবে? বীরভূম জেলা টিএমসি মনে করছে উপনির্বাচন শেষ। সিবিআই আর এখন আসবে না।
শুধু গোরু পাচার মামলা নয়, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের গণহত্যার তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চায় সিবিআই।