মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বাংলার কোষাগারে টান রয়েছে। কিন্তু, এ বছর দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে রাজ্য সরকারে অনুদানের বহর একলাফে ১৫ হাজার বেড়েছে। অনুদানের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে আরও বেশি ক্লাবকে। তাহলে কোথায় থেকে আসছে এত বিপুল টাকা? এই প্রশ্ন তুলে ফের মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে!
সৌরভ দত্ত নামে এক ব্যক্তি আগেও এই অনুদান নিয়ে মামলা করেছিলেন উচ্চ আদালতে। সেই জনস্বার্থ মামলাতেই এবার নতুন করে আবেদন করা হল। গত কয়েক বছরে পুজোয় যে অনুদান দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের তরফে, সেই খরচ নিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারী। কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর আর্জি জানানো হয়েছে। পুজোর অনুদানের উৎস কী? ক্লাবগুলি এই টাকা গাইডলাইন মেনে খরচ করছে কি না তা দেখার আবেদন করা হয়েছে।
Hilsa: ইলিশপ্রেমী বাঙালিদের জন্য দারুন খবর, টন টন রুপোলি শস্য জেলেদের জালে
গত ২৩ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠক করেছিলেন। সেখানেই তিনি পুজো অনুদানের ঘোষণা করেন। গতবারের থেকে ১৫ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে এবার অনুদান দেওয়া হবে ৮৫ হাজার টাকা করে। আগামী বছর অনুদানের অঙ্ক হবে ১ লক্ষ টাকা করে। এছাড়াও, ক্লাবগুলির জন্য বিদ্যুতের ছাড়ও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকটাই। ৬৬ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে সেই ছাড়।
তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভান্ডারকে নিয়ে কুমন্তব্য উচিত হয়নি, আফসোস সিপিএমের
রাজ্য সরকারের তরফে পুজোর অনুদান নিয়ে আগেও মামলা হয়েছিল। সেই সময় হাইকোর্টে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল। যা রাজ্য দেয়নি বলেই খবর।