আইনের দায়িত্ব নিয়ে বেআইনি কাজ করছে পুলিশ, চরম ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhiyaan) ঠিক আগের দিন চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২৬ অগাস্ট…

Calcutta high court summons panal of teacher recruitment during cpim regime

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhiyaan) ঠিক আগের দিন চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২৬ অগাস্ট আচমকাই এই অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল হাওড়া পুলিশ। এবার সেই বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতারি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের(High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়ল পুলিশ(Kolkata Police)। ২৬ অগাস্ট ওই চারজনের গ্রেফতারির পরের দিন হাইকোর্টে(High Court) তাঁদের একজনের বাবা মামলা করলে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতারির কথা ঘোষণা করে।

বেফাঁস মন্তব্যে বিতর্কে কাঞ্চন, বেলাগাম কটাক্ষ ঋত্বিক-সুদীপ্তা

   

তাদের গ্রেফতারির পেছনে পুলিশের অভিযোগ ছিল যে, এই চারজন নবান্ন অভিযানে(Nabanna Abhiyaan) গোলমাল পাকাতে পারে, তাই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও সেদিনই বিকেলে বেলুড় থানা থেকে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই মামলাই উঠেছিল বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। আর এই মামলার শুনানিতেই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিচারপতি। রাজ্যের আইনজীবী এদিন জানান, “পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল এই চারজন নবান্ন অভিযানে বড় কোনও গোলমাল করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। তার ভিত্তিতেই আগাম গ্রেফতার করা হয়।”

বিজেপির জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে গ্রেফতার প্রাক্তন মন্ত্রী নীশীথ প্রামানিক

অন্যদিকে মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, “যদি তাই হয় তাহলে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দিলো কীসের ভিত্তিতে? নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে অথচ কোনও প্রসেস মানা হয়নি। তাঁরা কেউ দাগি অপরাধী নয়। গ্রেপ্তারের কারণও স্পষ্ট নয়।” এরপরেই বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, “কোন সূত্র মারফত পুলিশ(Kolkata Police) এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেল? কী অভিযোগ পেল? এদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনও অপরাধের ঘটনা যদি থাকে, সেই তথ্য কোথায়? গুরুতর অভিযোগ পাওয়ার পরও পুলিশ ছেড়ে দিল কেন?

বিনীত গোয়েলের অপসারনের দাবিতে লালবাজার অভিযান জুনিয়র ডাক্তারদের

আর যদি পুলিশের কাছে আসা তথ্য বিশ্বাসযোগ্য না হয় তাহলে তাঁদের গ্রেফতার করে ২৪ ঘণ্টা আটকেই বা রাখা হল কেন? এইভাবে গ্রেফতার করা যায় না। আর গ্রেফতার করলেও এই ভাবে ছাড়া যায় না।” সবশেষে বিচারপতি জানিয়েছেন আগামীকাল মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার এই অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’ নামে তথাকথিত অরাজনৈতিক সংগঠন। কিন্তু সেই অভিযানে পুলিশ(Kolkata Police) ও জনতার খণ্ডযুদ্ধে লাগামছাড়া পরিস্থিতির ফলে শতাধিক আহত হন। গ্রেফতারও হন অনেক আন্দোলনকারী।