By Election:বুদ্ধবাবু হেরেছিলেন, ১৫ বছর পর সিপিআইএমের সায়রা জিতলেন সেই ওয়ার্ড

By Election: গণনা চলছে। দীর্ঘসময়ের বাদে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওয়ার্ডে জয়ের স্বাদ পেল সিপিআইএম। বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে ও ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল…

IMG 20220416 WA0007 By Election:বুদ্ধবাবু হেরেছিলেন, ১৫ বছর পর সিপিআইএমের সায়রা জিতলেন সেই ওয়ার্ড

By Election: গণনা চলছে। দীর্ঘসময়ের বাদে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওয়ার্ডে জয়ের স্বাদ পেল সিপিআইএম। বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে ও ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় ২২৪ ও ৯১৮ ও ভোটে পরাজিত হয়েছেন। জিতেছেন সায়রা শাহ হালিম।

বাম জমামার শেষ বছরের ভোটে ২০১১ সালের পর এই প্রথম মহানগরের বিধানসভায় বামেদের বড় উত্থান। তবে বালিগঞ্জ দখলেই রাখতে চলেছে টিএমসি। 

   

বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে টিএমসির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছে সিপিআইএম। অথচ একুশের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে বিজেপির নিচে ছিল বামেরা। এবার বিজেপি নেমেছে চতুর্থ স্খানে।

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র দখলের পথে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ থেকেই বিহারি বাবু শত্রুঘ্ন সিনহা সংসদ সদস্য হতে চলেছেন। তবে আসানসোলে বিজেপি লড়াই করছে। তিন নম্বরেই আছে সিপিআইএম।

অন্যদিকে বালিগঞ্জ বিধাননসভা আসনের উপনির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের পথে। বিধানসভায় ঢুকতে চলেছে বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপি ত্যাগ করা হার্ড হিটিং হিন্দুত্ববাদী বাবুলকে বালিগঞ্জের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এর জন্য টিএমসিকে মূল্য চোকাতে হচ্ছে।

বালিগঞ্জ কেন্দ্রে গতবার নির্বাচনে টিএমসির সুব্রত মুখার্জি পেয়েছিলেন এক লক্ষের বেশি ভোট। তিনি জয়ী হন ৭৫ হাজারের বেশি ব্যবধানে। তাঁর প্রয়াণে হওয়া উপনির্বাচনের ফলাফল বলছে, টিএমসি বড় ধাক্কা খাচ্ছে। এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে টিএমসির সঙ্গে এবার সিপিআইএমের মূল লড়াই।

গত বিধানসভা ভোটে টিএমসির সঙ্গে বিজেপির মূল লড়াই হয়েছিল। আর উপনির্বাচনের ছবি আলাদা। বিজেপি নেমেছে চতুর্থ স্থানে। তৃতীয় স্থানে এসেছে কংগ্রেস।

কলকাতা পুরনিগম ভোটের ফল ধরে রেখে ফের মহানগরে চমক দিল বামফ্রন্ট। বালিগঞ্জে সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা হালিম গতবারের পাওয়া বাম ভোটের ৫.৬১ শতাংশ পেরিয়ে তিরিশ শতাংশের বেশি ভোট টানছেন। গতবার সায়রা হালিমের স্বামী ডক্টর ফুয়াদ হালিমকেই কার্যত হারালেন স্ত্রী সায়রা।

বালিগঞ্জে হার নিশ্চিত ছিল জানতেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। দলীয় প্রার্থী কেয়া ঘোষের হয়ে তেমন নামেননি কেউ। ফলে গতবার দ্বিতীয় থাকা পদ্ম দল এবার চতুর্থ হচ্ছে। তৃতীয় স্থানে কংগ্রেসের কামরুজ্জামান চৌধুরী।

অন্যদিকে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে কি পরিবর্তন? নাকি বিজেপির দখলে? এখানে তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিনহা এগিয়ে। তবে লড়াই দিচ্ছেন বিজেপির অগ্নিমিত্রা পল।

যাকে ঘিরে গোটা উপনির্বাচন আলোচিত সেই বাবুল সুপ্রিয়র কী হবে? বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের টিএমসি প্রার্থী বাবুল আগে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। হিন্দুত্ববাদী বাবুল জার্সি বদলে তৃণমূলী হয়েছেন। তবে আগে সংখ্যালঘু বিদ্বেষ মন্তব্যের অভিযোগে তাঁকে নিয়ে উপনির্বাচন সরগরম।

নতুন বাংলা বছরের প্রথম ভোট ফল কতটা মিষ্টি হবে এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে।

প্রধান বিরোধী দল বিজেপি কি এবারেও শূন্য হাতেই ফিরবে এও অন্যতম আলোচ্য বিষয়। কারণ, একুশের বিধানসভা ভোটের পর যতগুলো ভোট হয়েছে সবেতেই শূন্য হয়েছে বিজেপি।

তাৎপর্যপূর্ণ, বিধানসভায় কোনও আসন না পাওয়া বামফ্রন্টের তথা সিপিআইএমের ভোট প্রাপ্তির হার উর্ধমুখী। পুরনিগম ও পুরসভাগুলির ভোটে বিজেপি নেমেছে তৃতীয়স্থানে। কংগ্রেসের ভোটও বেড়েছে।

পুরভোটে বিরোধী দল বিজেপির ঘরে একটিও বোর্ড নেই। বাম দখলে গেছে একটি পুরবোর্ড। সবমিলে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে উঠে আসা সিপিআইএমেরও পরীক্ষা এই উপনির্বাচনের ফলাফলে।

পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচন হয়েছে এই কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র দল ও সাংসদ পদ ত্যাগ করায়। তিনি এখন তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বালিগঞ্জ থেকে লড়াই করছেন। আর কলকাতার বালিগঞ্জে উপনির্বাচন হচ্ছে এই কেন্দ্রের বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের জন্য।

আসানসোলে টিএমসির প্রার্থী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা, বিজেপির হয়ে নেমেছেন অগ্নিমিত্রা পল, তিনি আসানসোল পশ্চিমের বিধায়ক। আর সিপিআইএমের হয়ে আছেন পার্থ মুখার্জি।

বালিগঞ্জের ভোটে টিএমসির হয়ে আছেন বাবুল সুপ্রিয়। সিপিআইএমের সায়রা শাহ হালিম ও কংগ্রেসের কামরুজ্জামান চৌধুরী, বিজেপির কেয়া ঘোষ।

রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, দুটি উপনির্বাচনেই দান ছেড়ে দিয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। বাম শিবির মাটি কামড়ে আছে।

বালিগঞ্জের ভোট নিয়ে শাসক দলের অন্দরে চাপা উত্তেজনা। কারণ, দলীয় প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে যে সংখ্যালঘু বিদ্বেষ রাজনীতি জড়িয়ে আছে তা কষ্ট করে গিলতে হয়েছে। বিজেপি তে থাকার সময় এ নিয়ে বারবার বিতর্কে জড়ান বাবুল। ফলে তার প্রচারে গিয়ে টিএমসি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে হয়, বাবুল নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখে ভোট দিন।

বাবুল বিজেপির সাংসদ ও মন্ত্রী থাকাকালীন আসানসোলে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। ফলে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বালিগঞ্জ থেকে তিনি কি মসৃণ জয় পাবেন? এমন প্রশ্ন থাকছে। তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরের বড় চিন্তা সিপিআইএমের সায়রা শাহ হালিমকে নিয়ে। তিনি অভিজাত সংখ্যালঘু পরিবার থেকে আসা এমআরসি বিরোধী নেত্রী। আবার কংগ্রেসের কামরুজ্জামান যদি ভোট কাটেন তাহলে বিজেপির কিছুটা লাভ। সবমিলে হযবরল ছবি বালিগঞ্জে।