সোমার চাকরি টিকলে দৃষ্টিহীনদের কেন নয়? আদালতের মানবিক রায়কে নজির করে চাকরি ফেরতের দাবি বিশেষভাবে সক্ষমদের

আইনের চোখে সবাই সমান। কিন্তু কখনও (SSC jobless teachers) কখনও সেই চোখও ঝাপসা হয়ে যায় মানবিকতার আলোয়। আদালতের রায়ে যখন ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকা সোমা দাস…

Blind SSC-Selected Jobless Teachers Write to Government, Seek Reinstatement on Humanitarian Grounds

আইনের চোখে সবাই সমান। কিন্তু কখনও (SSC jobless teachers) কখনও সেই চোখও ঝাপসা হয়ে যায় মানবিকতার আলোয়। আদালতের রায়ে যখন ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকা সোমা দাস চাকরিতে বহাল থাকেন, তখন অনেকেই বলেন, “এটাই তো মানবিকতা।” কিন্তু সেই মানবিকতার ছায়া (SSC jobless teachers) পড়ছে না বাকিদের উপর—যাঁদের শরীরে অসুস্থতা নেই, কিন্তু প্রতিবন্ধকতা আছে। যেমন দৃষ্টিহীন কিংবা বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষকরা। তাই তাঁরা এখন পথে নেমেছেন একটাই প্রশ্ন নিয়ে: ‘সোমার চাকরি টিকলে আমাদের নয় কেন?(SSC jobless teachers) 

পশ্চিমবঙ্গের এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) দুর্নীতিতে যখন রাজ্য জুড়ে (SSC jobless teachers) হইচই চলছে, তখন আদালতের রায়ে বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি।(SSC jobless teachers) সেই তালিকায় ছিলেন ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসও। কিন্তু আদালত (SSC jobless teachers) দিক বিবেচনা করে তাঁকে চাকরিতে বহাল রাখে। আদালতের সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানালেও, এখন সেই দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে নিজেদের দাবিতে সরব হয়েছেন রাজ্যের দৃষ্টিহীন ও বিশেষভাবে সক্ষম প্রাক্তন শিক্ষকরা(SSC jobless teachers) 

   

অল বেঙ্গল ব্লাইন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষাসচিব এবং এসএসসির চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠিয়ে তাঁদের চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। (SSC jobless teachers) সংগঠনের সভাপতি তাপস রায় জানান, “২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিলের ফলে আমাদের মধ্যে প্রায় ৭০ জন দৃষ্টিহীন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। তাঁরা সকলেই পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁদের অযোগ্য বলার কোনও সুযোগ নেই। আদালত যদি সোমা দাসের বিষয়ে মানবিক হতে পারে, তাহলে আমাদের বেলাতেও সেই মানবিকতা দেখানো উচিত।(SSC jobless teachers) 

দৃষ্টিহীনদের পরীক্ষা দেওয়া একটি ভিন্ন প্রক্রিয়া।(SSC jobless teachers) সাধারণ পরীক্ষার্থীর মতো তাঁরা নিজেরা লিখতে পারেন না। তাঁদের জন্য একজন ‘রাইটার’ বা লেখক প্রয়োজন,(SSC jobless teachers) যিনি প্রশ্ন শুনিয়ে উত্তর লেখেন। অনেক সময় এই ‘রাইটার’ পাওয়াই যায় না। ফলে তাদের পরীক্ষার অভিজ্ঞতা স্বাভাবিক নয়। এমন অবস্থায় তাঁদের পরিশ্রম, লড়াই ও সাফল্য আরও বেশি মূল্যবান। তাই তাঁরা চান, তাঁদের প্রতি আলাদা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করুক সরকার এবং বিচারব্যবস্থা(SSC jobless teachers) 

শুধু দৃষ্টিহীনরাই নন, ক্যানসার আক্রান্ত হয়েও চাকরি হারিয়েছেন সায়নগরের শিক্ষক ভাওয়ালও। তিনি বিধাননগরের কুরবান আলি হাই স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের (SSC jobless teachers) শিক্ষক ছিলেন। তিনি বলেন, “আমি চিকিৎসার মধ্যে আছি, নিয়মিত কেমো চলছে। আমার শরীর আর্থিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমার চাকরিও যদি ফিরিয়ে না দেওয়া হয়, তাহলে কোথায় দাঁড়াব?”(SSC jobless teachers) 

এই প্রশ্ন শুধু ভাওয়াল বা দৃষ্টিহীন শিক্ষকরা করছেন না, করছে গোটা সমাজ। কারণ একদিকে মানবিকতা আর অন্যদিকে আইন। প্রশ্ন উঠছে—আইন কি কেবল শাস্তি দেওয়ার জন্য, না কি সেটিও মানবিকতা বিবেচনা করতে পারে?(SSC jobless teachers) 

Advertisements

আদালত অতীতে বহুবার মানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কখনও অসুস্থতা, কখনও পরিবারিক দুর্দশার ভিত্তিতে রায় দিয়েছেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত যদি নির্বাচিতভাবে কিছু মানুষকে(SSC jobless teachers) দেওয়া হয়, আর বাকিদের বঞ্চিত করা হয়, তাহলে সেটা কতটা ন্যায্য?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর চায় দৃষ্টিহীন ও বিশেষভাবে সক্ষম প্রাক্তন শিক্ষকরা। তাঁরা চান, সরকার ও বিচারব্যবস্থা তাঁদের দিকেও তাকাক, যেন শুধু আইন নয়—মানবিকতা-ও তাঁদের পাশে দাঁড়ায়।(SSC jobless teachers) 

তাঁরা রাজপথে নেমে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গলা তুলে বলছেন, “আমরা অযোগ্য নই, আমরা প্রতিবন্ধী। আমরা চাই, আমাদের লড়াইয়ের কদর হোক, আমাদের প্রাপ্য আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।(SSC jobless teachers) 

শেষ কথা, রাষ্ট্র যদি সত্যিই মানবিক হয়, তাহলে তাদের এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া উচিত—“সোমার চাকরি থাকলে আমাদের নয় কেন?”(SSC jobless teachers)