SLST: অভিষেকের নির্দেশেই পুলিশ এরকম কাজ করছে, অভিযোগ বিজেপির

এমএলএ হোস্টেলের সামনে এসএলএসটি (SLST) চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখান ৮৭১ দিন ধরে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর বুধবার পরিস্থিতি চরমে ওঠে এমএলএ হস্টেলের…

এমএলএ হোস্টেলের সামনে এসএলএসটি (SLST) চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখান ৮৭১ দিন ধরে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর বুধবার পরিস্থিতি চরমে ওঠে এমএলএ হস্টেলের সামনে। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

সকাল ১০টা নাগাদ বিক্ষোভ দেখতে কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলের সামনে বসে পড়েন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। চলছে বিধানসভা অধিবেশন এবং এই বিক্ষোভের কারণে আটকে পড়েন বিরোধী বিধায়করা। এরপর ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশ এবং বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। টেনে হিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে কলকাতা পুলিশ।
চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে প্রিজন ভ্যান তোলা হয়। বাসে তোলার সময় মেরে ফেলার কথা বলেন এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী। বিরোধী বিধায়করা পাশে থাকার বার্তা দেন তাঁদের। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ করে বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই পুলিশ এরকম কাজ করছে। নক্কারজনক ঘটনা এটা।“

বুধবার সকালে এমএলএ হস্টেলের বাইরে ধর্নায় বসেন এসএলএসটি-র ২০১৬ চাকরি প্রার্থীরা। পুলিশ সেখানে পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কিড স্ট্রিট চত্বর। প্রথমে মাইকিং করে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না থেকে উঠে যেতে বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। আর চাকরি প্রার্থীরা বিধায়ক হোস্টেলের গেটের সামনে চলে যান। গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সেখান থেকে টেনে হিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থীদের তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। তখনই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিরোধী দলের বিধায়করা গেটের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান।

চাকরিপ্রার্থীদের একজন বলেন, আমরা ভিক্ষার চাকরি চাই না। বেঁচে থেকে চাকরি করতে চাই, পরিবারের দায়িত্ব নিতে চাই। ১০টা থেকে ৫টা স্কুলে থাকতে চেয়েছি, আর কী চেয়েছি? পরিবারকে সাহায্য করতে পারি না, এর থেকে যন্ত্রণার আর কী আছে?

এমএলএ হোস্টেলের বাইরে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে গলা টিপে ধরার অভিযোগ উঠল (kolkata police) কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেই। এর আগে এক চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। বিতর্কও হয়েছে। এরপর আবার গলা টিপে ধরার অভিযোগ ওঠে।