Behala Accident: গলায় গামছা দিয়ে বিনীত গোয়েলকে পদত্যাগ করার পরামর্শ শুভেন্দুর

বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বেহালায় (Behala Accident)। দ্বিতীয় শ্রেণির স্কুল পড়ুয়াকে পিষে দিয়ে চলে যায় লরি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ছোট্ট শিশু। এরপর রণক্ষেত্রের আকার নেয় এলাকা।

BJP leader Suvendu Adhikari demands the immediate resignation of Kolkata Police Commissioner Vineet Goyal

বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বেহালায় (Behala Accident)। দ্বিতীয় শ্রেণির স্কুল পড়ুয়াকে পিষে দিয়ে চলে যায় লরি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ছোট্ট শিশু। এরপর রণক্ষেত্রের আকার নেয় এলাকা। এবার এই ঘটনার জন্য পুলিশের গাফিলতিকেই দাই করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশের গাফিলতির কারণেই বেহালা চৌরাস্তায় প্তহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্কুল ছাত্রের এবং এই ঘটনায় দায় নিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের (Kolkata Police Commissioner Vineet Goyal) পদত্যাগের দাবি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,”বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ করা উচিত, গলায় গামছা দিয়ে ওনার পদত্যাগ করা উচিত।“ তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মন্ত্রীও। তাঁকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য হাজার পুলিশ রয়েছেন এবং তাঁর ভাইপোকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য চার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা আছে। রাজ্য পুলিশের শুধু দুটো কাজ। তৃণমূলের হয়ে ভোট কর্মসূচি সফল করা এবং ব্যাপকভাবে তোলা আদায়।“

   

সকাল থেকেই রণক্ষেত্র বেহালা। বেহালার স্কুল ছাত্র এবং তার বাবাকে পিষে দিয়ে পালিয়ে যায় লরির চালক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। এরপরই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর সাঁতরাগাছির কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ধরা হয় ঘাতক লরির চালককে। পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ফোন করেন। এছাড়াও জানা গিয়েছে যে এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। আলাদা করে রপোর্ট চেয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরও।

শুক্রবার সকালে বেহালার উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশ কমিশনার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্তারা। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন যে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল এবং কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতার অন্যতম বেহালা চৌরাস্তা মোড়ের চারিদিকে শুক্রবার সকালে আতঙ্কিত জনতার দৌড়। পুলিশের উপর হামলারও অভিযোগ ওঠে। দুর্ঘটনায় (Behala Accident) জোড়া মৃত্যুর প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এত ব্যস্ত বেহালা চৌরাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ থাকেই না। তারা আরও বলছেন, আজ যে গাড়িটা ধাক্কা মেরে পালিয়েছে সেটা ইচ্ছে করলেই আটকাতে পারত পুলিশ। টাকা খেয়ে সব চেপে দিতে চায় পুলিশ।

জানা যাচ্ছে বেহালা থেকে বেরিয়ে গেলেও ঘাতক লরিটি ও চালককে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বাবলাতলা থেকে আটক করেছে হাওড়া ট্রাফিক পুলিশ। এদিকে বেহালায় তীব্র উত্তেজনা।

উত্তেজনা বাড়ে পুলিশের লাঠিচার্জে। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়তে থাকে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মহিলা, শিশু সবাইকেই লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছে। কোনও মহিলা পুলিশও এলাকায় নেই। পরে ঘটনা বেগতিক দেখে মহিলা পুলিশ আনানো হয়।