মাদক পাচারে যুক্ত রাজ্যের দুই মন্ত্রী: বিজেপি

কলকাতা বন্দরে আটক হওয়া ২০০ কোটি টাকা হেরোইন আনা হয়েছিল তৃণমূলের কর্মীকে সরবরাহ করার জন্য। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।…

BJP office jaganath chaterjee with Sukantaa majumdar

কলকাতা বন্দরে আটক হওয়া ২০০ কোটি টাকা হেরোইন আনা হয়েছিল তৃণমূলের কর্মীকে সরবরাহ করার জন্য। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা বন্দরে তল্লাশি চালায় গুজরাত পুলিশের এটিএস। সেখানে ৪০ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২০০ কোটি টাকা। বিজেপির দাবি, গত বছর মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে এই এই বিপুল টাকার মাদক বুক করা হয়েছিল। অভিযোগ, গত মার্চ মাসে দুবাই থেকে ওই মাদক কলকাতায় এসেছিল।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে, ৪০ কেজি হেরোইন শরিফুল এন্টারপ্রাইজের নামে এসেছিল। সেই সংস্থার মালিক শরিফুল ইসলাম মোল্লা। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগণার সন্দেশখালি ১ নম্বর ও ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি শিবু হাজরা ও শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ট বলে দাবি করছে বিজেপি। এমনকি মাদক পাচারের সঙ্গে দুই মন্ত্রী যুক্ত বলেও জানা গেছে।

বিজেপির দাবি, পরে ৯ সেপ্টেম্বর গুজরাট এটিএস তল্লাশি চালিয়ে ওই কন্টেনার বাজেয়াপ্ত করে। এরপর শরিফুলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও তাঁকে খুঁজে পায়নি বিএসএফ। বিজেপির আশঙ্কা, শরিফুল বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, শরিফুল কোথায় আছে? সেটা খুঁজে বের করুক সিআইডি। নাম না করে তিনি বলেন, কনটেইনার আটক হওয়ার পর থেকে শেখ শাহজাহান একজন মন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন। শরিফুলের সঙ্গে দুই নেতার কথাবার্তার রেকর্ডিং তাঁদের কাছে রয়েছে বলেও দাবি করেন সুকান্ত।