লোকসভা ভোটের ঠিক মুখে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থী দিল। প্রার্থীর নাম অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। যদিও বাংলার সাধারণ মানুষ এই নাম খুব একটা শোনেনি। কারণ ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র বলে বিবেচিত বাংলার রাজনৈতিক মহলে। কারণ এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে হিমশিম খেতে হবে বিজেপি, এমনই অভিযোগ করে আসছিল ঘাসফুল শিবির। যদিও সেটা খুব একটা ভুল নয় বলে মনে করেছে রাজনৈতিক মহল। নয়ত বিজেপির মতো একটা দলকে তাঁদের প্রার্থী দিতে এত সময় লেগে গেল ? অনেকে এখানেই আঁতাতের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে।
কিন্তু ইনি কে? অভিজিৎ দাস। তাঁকে খুব একটা ক্যামেরার সামনেও দেখা যায়নি কখনও। রাজ্য বিজেপির ইলেকশন ম্যানেজমেন্টের কো-কনভেনার হিসাবে কাজ করছেন তিনি। এক সময় বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও ছিলেন তিনি। তাঁর পেশা লিগাল অ্যাডভাইসর এবং সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে তিনি ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে লড়েছেন। তখনকার নিরিখে তাঁর নামে দুটি ক্রিমিনাল কেসও আছে। বর্তমানে তাঁর বয়স ৫৪। বিজেপির দাবি, অভিজিৎ ডায়মন্ড হারবারকে হাতের তালুর মত চেনেন। ফলে তাঁর পক্ষে এই কেন্দ্রে লড়াই দেওয়া যথেষ্টই সহজ বলে মনে করছে দল। একেবারে নীচুতলা থেকে সংগঠন করে এসেছেন অভিজিৎ। এই মুহূর্তে বিজেপির নির্বাচন সংক্রান্ত যে ম্যানেজমেন্ট টিম, তাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় তিনি।তিনি এলএলবি করার পরে এমএসসি করেছেন। একসময় আরএসএস-এর হয়ে প্রচারের কাজও করেছেন।
অভিজিৎ দাস ওরফে ববি কি কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে এই লোকসভা নির্বাচনে নাকি তিনি শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার ম্যাচ খেলার জন্য মাঠে নামছেন সেটাই দেখার। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “অভিজিৎ দাস ববি আমাদের বহুদিনের সংগঠক। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করে, লড়ে চলেছেন তিনি।”


