CPIM: ডিএ বিতর্কে মমতাকে খোঁচা দিলেন বিকাশ ‘ভদ্রমহিলা কি কোনদিন স্কুলে পড়েছেন’

কেন্দ্রীয় সরকারের সমতুল ডিএ দেবে না রাজ্য সরকার। এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন কারোর আপত্তি থাকলে চলে যান, কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ করুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়…

Bikash Ranjan Bhatyacharya on DA Issue

কেন্দ্রীয় সরকারের সমতুল ডিএ দেবে না রাজ্য সরকার। এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন কারোর আপত্তি থাকলে চলে যান, কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ করুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ডিএ প্রসঙ্গে গত বাম জমানার শাসক দল CPIM কে নিশানাও করেন। এ নিয়ে সিপিআইএম সাংসদ ও আ়ইনজীবী বিকাশরঞ্জন(Bikash Ranjan Bhattacharya) ভট্টাচার্য সরাসরি কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ ইস্যুতে মমতা বলেন, “সিপিএম ২০১১ পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ ডিএ দিয়েছে। এরপর আমরা ক্ষমতায় আসার পরবর্তী কালে ২০১৯ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। ডিএ নিয়ে বড় বড় কথা বলছে। ডিএ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। এই যে রাজ্যের এত সমস্যা তার জন্য দায়ী বাম সরকার। তারা যে এত টাকা ধার করেছেন যার জন্য আমাদের এই ঋণ শোধ করতে করতে রাজ্য সরকারের সব টাকা চলে যাচ্ছে”।

এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন। তিনি বলেন ” আমার শুধু একটা কথা বলতে ইচ্ছে করে ভদ্রমহিলা কি কোনদিন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তিনি কি কোনদিন যোগ, বিয়োগ, অংক শিখেছেন নাকি তাও শেখেননি। বাম আমল পর্যন্ত ঋণ ছিল ১ লক্ষ ৭৯ হাজার কোটি টাকা। আর আজ উনি ঋণ করেছেন ৫ লক্ষ। এক্ষেত্রে ঋণ করলে কী দাঁড়ায়? এ ধরনের কথা উনি বললেন। ওঁর মুর্খামিতে ওঁর দলের লোকেরা উৎসাহিত হতে পারেন। কিন্তু আমরা যারা সাধারন মানুষ তাদের বোধ বুদ্ধি আছে তারা এই যুক্তিকে স্বীকার করেন না, ঘৃণা করেন”।

সরকারি কর্মচারীদের ডিএ আন্দোলন চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা থেকে ডিএ প্রসঙ্গে সিপিআইএমের দিকে আঙুল তোলেন। তার মূল দাবি সিপিআইএমের করা ধারের জন্যই আজ রাজ্য সরকারের এমন পরিস্থিতি। তবে ক্ষেত্রে কিছুটা দায়ী কেন্দ্র সরকারও কারণ তারা রাজ্য সরকারের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে।

বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মনে রাখুন কেন্দ্র তিন থেকে চার দিন ছুটি দেয়। আমরা সেখানে ৪০ থেকে ৪৫ দিন ছুটি দিয়ে থাকি। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন। আমরা দশ বছরে একবার বিদেশ যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এদিকে রাজ্য সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় সরকারের সমতুল্য ডিএ চেয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মহলে আরও বলেন, ” একদিকে রাজ্য সরকারের এত ধার অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা আটকে রাখা বিভিন্ন খাতে। সেই সমস্ত টাকা যদি পেয়ে যেতাম তাহলে নিশ্চয়ই ডিএ মিটিয়ে দিতে পারতাম”।