সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের নামে ‘বিজয়া’র পরিবারের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ

আজ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। কিন্তু এই শুনানির আগেই বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে গেল বাংলা। ইতিমধ্যে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায়…

আজ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। কিন্তু এই শুনানির আগেই বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে গেল বাংলা। ইতিমধ্যে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অশান্ত হয়ে রয়েছে সমগ্র দেশ। তবে এবার সিপিআইএম-এর সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের (Bikashranjan Bhattacharyya) নামে ‘বিজয়া’-র পরিবারের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। নিজেই রাজ্যসভার সাংসদ ব্যাপারটি সকলের সামনে তুলে ধরেছেন।

তিনি জানান, ‘আমার নাম করে ওকালতনামায় সইয়ের চেষ্টা করা হয়েছে।’ সামাজিক মাধ্যমে সাংসদ লেখেন, ‘দিল্লীর বিমান বন্দরে নামামাত্রই ফোনে সংবাদ পেলাম একদল ধান্ধাবাজ, চিকিৎসকের ভেক ধরে নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে দেখা করে আমার নাম করে ধাপ্পা দিয়ে সুপ্রীম কোর্টের মামলার ওকালত নামায় স্বাক্ষর করাতে গিয়েছিলেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তাঁরা ছিলেন মমতাভক্ত। চেয়েছিলেন আমার নাম করেও কালতনামা বাগাতে পারলেই মমতার পক্ষে সওয়াল করতেন। আমার নাম যারা ব্যবহার করতে চাইলেন তাদের খুঁজে বারকরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। অনেক গোপন তথ্য উদ্ধার হতে পারে।’

   

একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘কারা এই ঘৃণ্য কাজ করেছে খুঁজে বের করে জনসমক্ষে তাদের নাম প্রকাশ হোক।’ অন্য আরেকজন লেখেন, ‘অনেক বছর ধরেই তুমি মমতা র চক্ষুশুল। অনেক আন্দোলন ছিল বা আছে,রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ।আরজি কর কান্ড রাজ্যে ছাড়িয়ে দেশ,দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে পৌঁছে গেছে। জনগন ক্ষেপে গেছে।ভয় তো পাবেই।’

কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে অত্যাচারের ঘটনায় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড় আক্রমণ করেন বিকাশরঞ্জন। কলেজের অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (৭২) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলছেন, সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা সন্দেহজনক। এর আগে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে বলেছিলেন, নিহতের শরীরের অবস্থা দেখে মনে হয় না যে কোনও একজন ব্যক্তি এটি করতে পারেন। মৃতদেহের ওপর একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।