উৎসব আবহে কলকাতায় রাজনৈতিক উত্তাপ প্রবল। বামপন্থী বই বিপনী কেন্দ্র ভাঙার প্রতিবাদে সামিল হয়ে CPIM সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে (Bikash Ranjan Bhattacharya) আটক করেছিল (Kolkata Police) কলকাতা পুলিশ। পরে তারা আইনি যুক্তিতে বিপদে পড়ে। ভয় পেয়ে ছেড়ে দেয়। এমনই দাবি করেছেন দুঁদে আইনজীবী ও বাম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য। ওই বই বিপনি কেন্দ্রটি (TMC) তৃ়ণমূল সমর্থকরা রবিবার ভেঙেছিল বলে অভিযোগ।
কোন আইনে পুলিশ ‘ভয়’ পেল লিখেছেন বিকাশ ভট্টাচার্য। তিনি লিখেছেন, ‘মমতার রাজ্যে বই বিক্রি করার অপরাধে বামপন্হী কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। পূজোর নামে সমাজবিরোধীদের জমায়েতকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় । আমার বক্তৃতার পরই ঐ একদল তৃণমূলি অশ্রাব্য গালিগালাজ করে আমার উদ্দেশ্যে। ঐসব গালিগালাজ সাধারণত ভদ্রলোকেরা করেনা।গুন্ডামি করে অটোতে লাগান মাইক ভাঙ্গার চেষ্টা করে। আমরাও প্রতিবাদে রুখে দাঁড়াই।
এই সময় আইপিএস আশিসের নেতৃত্বে বই স্টল বন্ধের হুমকি দেয়।আমার তোপের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা করে। আমি গ্রেপ্তারের মেমো দাবী করলে থমকে গিয়ে বলে, প্রিভেন্টিভ গ্রেপ্তার। লিখিত কারণ দিতে বলি ও পুলিশের গাড়ীতে উঠতে অস্বীকার করি। একটু ভয় পেয়ে গিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু ইতিমধ্যেই কমলেশ্বর সহ কয়েকজনকে ভ্যানে তুলে নেয়| বইয়ের স্টল চলবে এই প্রতিশ্রুতি পুলিশের তরফ থেকে দেবার পরই আমি ঐ স্হান পরিত্যাগ করি। আমি থাকলেই নাকি তৃণমূলিরা ক্ষিপ্ত হচ্ছে। আপনারা দিকে দিকে আওয়াজ তুলুন; চোর ধর, জেল ভরো, মার্কসবাদী বই পড়ো।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে ‘ভয়’ পেয়ে ছেড়ে দিলেও চলচ্চিত্র পরিচালক কমলেশ্বর মুখার্জিকে প্রিজন ভ্যানে করে লালবাজার নিয়ে যায় পুলিশ। ততক্ষণে রাজ্য জুড়ে প্রবল শোরগোল শুরু হয়ে গেছে। একের পর এক অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালকরা ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিশিষ্ট্য পরিচালকে সৃজিত মুখার্জি তৃ়নমূল কংগ্রেস সরকারকে কটাক্ষ করে লেখেন ‘বই কে ভয়’।
প্রবল চাপের মুখে বিখ্যাত পরিচালক কমলেশ্বর মুখার্জিকে পরে ছেড়ে দেয় পুলিশ।