সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিভান্তি তৈরি এবং কাউন্সিল-রাজ্য সরকারের মানহানির উদ্দেশ্যে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করল বিধান নগর থানার পুলিশ।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে বড় সাফল্য পেল বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুজন হল শ্রীমন্ত গড়াই (১৯) এবং আলফাক শেখ (২৫)। শ্রীমন্ত পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের বাসিন্দা। দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর দোষ স্বীকার করে। প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড সরবরাহকারী আলফাজ শেখের সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করে।
পুলিশি অভিযান চালিয়ে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা থেকে আলফাজ শেখকে গ্রেফতার করা হয়। আলফাজ শেখের কাছ থেকে ২,৫০০ বেশি প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড, ৬৫ টি কিপ্যাড মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং ৯টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল হ্যান্ডসেট উদ্ধার করা হয়েছে।
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুধুমাত্র উচ্চ-মাধ্যমিকের প্রশ্নই নয়, বিভিন্ন পরীক্ষার ভুয়ো প্রশ্নপত্র বানাত শ্রীমন্ত ও আলফাক শেখ। পুলিশ মনে করছে বড় কোনও চক্র রয়েছে এর পিছনে এবং তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৭ মার্চ ২০২৫ এ বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও-র মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা এবং মানহানি করার উদ্দেশ্যে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে, অনুভব মাইতি নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ দাবি করে যে পদার্থবিদ্যার প্রশ্নপত্র কোনও ভাবেই ফাঁস হয়নি। তারা জানায় যে সমস্ত প্রশ্নপত্রের প্যাকেটগুলি অক্ষত ছিল। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই এই দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।