ওডিশার বিভিন্ন প্রান্তে (Bangla Pokkho) পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের উপর ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে জাতিগত হিংসার ঘটনা ঘটছে, এমনটাই অভিযোগ বাংলা পক্ষের। ভারতের বাঙালিদের জাতীয় সংগঠনের বক্তব্য, পরিযায়ী শ্রমিক থেকে ফেরিওয়ালা হিসেবে কাজ করে আসা বাঙালি আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্ত বাঙালিরা বাংলা পক্ষর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এরপর সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলার প্রশাসনিক স্তরে যোগাযোগ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ওডিশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। বাংলার ভূমিপুত্রদের নিরাপত্তার দাবিতে ও এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে সোমবার কলকাতায় উৎকল ভবন অভিযানের ডাক দেয় বাংলা পক্ষ।
এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক ডঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সাংগঠনিক সম্পাদক তথা শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চ্যাটার্জী, ডাঃ আব্দুল লতিফ, কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, উত্তর চব্বিশ পরগনা শহরাঞ্চল জেলার সম্পাদক পিন্টু রায় প্রমুখ।
আরজি কর কাণ্ড, এবার পথে নেমে প্রতিবাদে ‘বিদ্বজ্জন’ অর্পণা-সোহিনী-পল্লবরা
গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয় জাতি। বাঙালি কাউকে আঘাত করে না৷ কিন্তু বাঙালি ভাইরা ওডিশায় ব্যবসার কাজে গিয়ে, শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে গিয়ে ‘বাংলাদেশি, সন্দেহে আক্রান্ত হচ্ছে। বাঙালি বিদ্বেষী বিজেপি ওডিশায় ক্ষমতায় আসার পরই বাঙালির উপর আক্রমণ বাড়ছে। আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি, বাঙালির উপর আক্রমণ বন্ধ না হলে এখানে বাঙালি শান্ত থাকবে না। আমরা শান্তি চাই। আমরা সহাবস্থান চাই। এখানে বেশি ওদের রাজ্যের মানুষ থাকে।
অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলা পক্ষ রাস্তায় আছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ যে তিনি দ্রুত হস্তক্ষেপ করেছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রশ্ন আপনি কথা বলার পরও আক্রমণ বন্ধ না হলে বাঙালির কি করা উচিত? এখানে লক্ষ লক্ষ ওডিশার লোক কাজ করেন। এটা সকলের মাথায় রাখা উচিত।
মমতার বড় ঘোষণার পরও অসন্তোষ! কী দাবি আরজি করের আন্দোলনকারীদের?
বাংলা পক্ষর বিক্ষোভকারীদের সামনেই ওডিশা সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্ম সচিব ফোন প্রকাশ্যে বার্তা দেন, বাঙালির উপর আর কোনও আক্রমণ হবে না। যারা আক্রমণ করেছে তাদের আইনের আওতায় শাস্তি দেওয়া হবে৷