দুর্গাপুজো (Durga pujo) হেরিটেজ সম্মান পেয়েছে ইউনেস্কো থেকে। তারই স্বীকৃতি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র পেল না রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার ৫ মে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্গাপুজো স্বীকৃতি অনুষ্ঠান। সেখানে বিজেপির প্রথম সারির নেতারা উপস্থিত থাকলেও আমন্ত্রণ পাননি তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের কেউ।
মুখ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অনুষ্ঠানে রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পাশে বসবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এমন অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক উঠছে। রাজ্যকে অপমান করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবল হেরিটেজ-র সম্মান প্রদান করে ইউনেস্কো। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই দুর্গাপূজোর আন্তর্জাতিক আসনে বসাতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিভাগে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আবেদনকে খতিয়ে দেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা হেরিটেজ তকমা দেয় দুর্গাপুজোকে।
রাজ্যপাল ধনখড় বাঙালি না হয়েও কি করে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এই সংস্কৃতির কথা মঞ্চে শোনাবেন, তা নিয়েও উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। আমন্ত্রিত শিল্পীরাও দাবি জানিয়েছেন যে, অনুষ্ঠানে দুর্গাপুজো নিয়ে কথা বলার এক মাত্র অধিকার যদি কারও থাকে, তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর।
বিশেষজ্ঞ মহলের তোলা হয়েছে প্রশ্ন। বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজো অর্থাৎ বাঙালির দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। তাহলে কিভাবে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে এই অনুষ্ঠান করছে? আদৌ কি সেটা উচিত!