মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে ‘বয়কট’ করলেন রাজ্যপাল, বাংলায় শোরগোল

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ধর্ষণ-হত্যা মামলা সরগরম হয়ে রয়েছে বাংলা তথা সমগ্র দেশ। দিকে দিকে বিক্ষভের আগুন জ্বলছে। সেইসঙ্গে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক…

Bengal Governor CV Ananda Bose Files Defamation Case Against Mamata Banerjee, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে এবার মানহানির মামলা দায়ের করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ধর্ষণ-হত্যা মামলা সরগরম হয়ে রয়েছে বাংলা তথা সমগ্র দেশ। দিকে দিকে বিক্ষভের আগুন জ্বলছে। সেইসঙ্গে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে রয়েছে। ফলে এবার এই ঘটনার নতুন করে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বয়কটের ঘোষণাও করে দিলেন রাজ্যপাল।

আজ বৃহস্পতিবার রাজভবনের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। বক্তব্য পেশ করেন রাজ্যপাল। আর এরপর তিনি যা বললেন তা শুনে চমকে গিয়েছেন সকলে। রাজ্যপাল বললেন, ‘ বাংলার সমাজের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমি সংকল্প নিয়েছি যে আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সামাজিকভাবে বয়কট করব। সামাজিকভাবে বয়কট মানে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও পাবলিক প্ল্যাটফর্ম শেয়ার করব না বা মুখ্যমন্ত্রী জড়িত রয়েছেন এমন কোনও প্রকাশ্য কর্মসূচিতে অংশ নেব না। রাজ্যপাল হিসাবে আমার ভূমিকা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে আমি যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পালন করেছি তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এর বেশিও নয়, কমও নয়। আমি গভীরভাবে ব্যথিত যে কলকাতায় অপরাধ প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা সর্বোচ্চ অফিসার, কলকাতা পুলিশ কমিশনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক প্রকৃতির গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে।’

   

গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজে ডিউটিরত মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে যে নারকীয় ঘটনা ঘটে গিয়েছে তা চাইলেও হয়তো বাংলার মানুষ কোনোদিন ভুলতে পারবেন না। এই আরজি করের ঘটনার ৩৩ দিন পেরিয়ে গেলেও নির্যাতিতা বা তার পরিবার সুবিচার পায়নি। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত কেটে গেলেও কোনোরকম সুরাহা হয়নি। ঘটনা প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে জুনিয়র ডাক্তারদের চলছে কর্মবিরতি। রাজ্য পরিচালিত হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা অচল হয়ে পড়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন।

আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় জনগণের স্বার্থে তিনি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।’ এদিকে ধর্মঘটী চিকিৎসকরা তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হননি বলে দুঃখ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমিও চাই নির্যাতিতারা ন্যায়বিচার পাক, কিন্তু এভাবে নয়।”