গ্রেফতার বাংলা পক্ষের গর্গ চট্টোপাধ্যায়

অসমীয়াদের ভাবাবেগে আঘাত করা এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টির অভিযোগে বাংলা পক্ষের নেতা গর্গ চ্যাটার্জীকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি হাইকোর্টের নির্দেশে কলকাতা…

অসমীয়াদের ভাবাবেগে আঘাত করা এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টির অভিযোগে বাংলা পক্ষের নেতা গর্গ চ্যাটার্জীকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি হাইকোর্টের নির্দেশে কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। গর্গ চ্যাটার্জীকে ট্রানজিট জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এই শর্তে যে তাকে ১৭ ই সেপ্টেম্বর গুয়াহাটির কামরূপ মেট্রো চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হতে হবে। আসামের আহোম রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা স্বরগাদেও সুকাফার বিরুদ্ধে ওই কর্মী কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০২০ সালের জুন মাসে আসামের ডিব্রুগড়ে, গর্গ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে আহোম সম্প্রদায়কে অপমান করার অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সুকাফা, আহোম রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা, যা ৬০০ বছর ধরে আসাম শাসন করেছিল, তাকে গর্গ চ্যাটার্জি “চিনা আক্রমণকারী” হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। এই মন্তব্যের ফলে অসমীয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আসামের বিভিন্ন জেলায় চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। পরে, অসম পুলিশের একটি দল তাকে ধরার জন্য কলকাতায় এলেও কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়।

জুন মাসে, অসমের গুয়াহাটির হাইকোর্ট বাংলা পক্ষের নেতার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য ও অসম পুলিশের সাথে অসহযোগিতার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ জারি করেছিল। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বাংলাপক্ষ। বাংলাপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘বাঙালির জন্য লড়তে গেলে বাঙালির শত্রুরা বিপদে ফেলবেই। এখন গর্গ চ্যাটার্জীকে গ্রেফতার করে অসস্মে নিয়ে যেতে চায় আসামের বিজেপি সরকার। আসামের নিপীড়িত, অত্যাচারিত বাঙালির পাশে দাঁড়ানোয়, এন আর সি বিরোধী আন্দোলন করায়, ডিটেনশন ক্যাম্পে বাঙালির দুরবস্থার কথা তুলে ধরায় বিজেপি গর্গ দাকে আক্রমণ করছে, জেলে পচিয়ে মারতে চায়। আমরা আইনি লড়াই লড়ছি, আমরা রাজনৈতিক লড়াই লড়ছি। লড়াই আরও তীব্র হবে। ভারতের আপামর বাঙালির কাছে অনুরোধ আমাদের পাশে থাকুন, কেস লড়তে অর্থ সাহায্য করুন। আপনাদের সকলের আর্থিক সাহায্য, পাশে থাকা ও আশীর্বাদ একান্ত কাম্য। কারণ গর্গ দার উপর আক্রমণ মানে বাঙালির উপর আক্রমণ। বাঙালি নিশ্চয়ই মেনে নেবে না।

সাধারণ সম্পাদক গর্গ চ্যাটার্জীকে এভাবে হেনস্থা করে বাংলা পক্ষকে থামানো যাবে না। আমরা প্রস্তুত। বাংলা পক্ষর পাশে থাকুন, বাংলা ও বাঙালির জন্য অধিকার আদায়ের জন্য এই লড়াই বাংলার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়বে।’