৪ দিন আগে অনুপ্রবেশ! কলকাতায় জালে বাংলাদেশি মহিলা

শহরে আবারও পুলিশের জালে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি (Illegal Immigration)। শনিবার কলকাতার এনআরএস হাসপাতালের সামনে থেকে বেবি বিশ্বাস নামে এক ২০ বছর বয়সী মহিলাকে গ্রেফতার করল এন্টালি…

Bangladeshi woman being arrested by Indian border security forces in Kolkata

শহরে আবারও পুলিশের জালে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি (Illegal Immigration)। শনিবার কলকাতার এনআরএস হাসপাতালের সামনে থেকে বেবি বিশ্বাস নামে এক ২০ বছর বয়সী মহিলাকে গ্রেফতার করল এন্টালি থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণ
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার এনআরএস হাসপাতালের সামনে এক তরুণী সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজের নাম বেবি বিশ্বাস এবং বাবার নাম আলমগীর খান। বাবা প্রয়াত। বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালের পাথরঘাটা থানার নাচনাপাড়া মল্লিকখালি গ্রামে বলে জানান।

   

বৈধ কাগজপত্র না থাকায় গ্রেফতার
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁর কাছে কোনো পাসপোর্ট বা ভিসা নেই। তিনি সীমান্ত পেরিয়ে মাত্র তিন-চার দিন আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন। কলকাতায় এসে তিনি শিয়ালদার কাছে একটি গেস্ট হাউসে থাকছিলেন। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে এবং এন্টালি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারায় মামলা রুজু করে।

তদন্তে জোর দিয়েছে পুলিশ
এই অনুপ্রবেশের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বেবি বিশ্বাস কেন এবং কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, কোনও দালালচক্রের মাধ্যমে তিনি এসেছেন। তবে তিনি একা এসেছেন নাকি আরও কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

আদালতে পেশ
রবিবার বেবি বিশ্বাসকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সন্দেহজনক গতিবিধি এবং বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
এই ঘটনায় ফের একবার সীমান্ত নিরাপত্তার ফাঁকফোকর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে একজন বাংলাদেশি মহিলা বৈধ নথি ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করলেন, তা নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে

শহরে অনুপ্রবেশের প্রবণতা বাড়ছে?
গত কয়েক মাসে কলকাতায় বাংলাদেশ থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশের ঘটনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই দালালচক্রের সাহায্যে এই ধরনের প্রবেশ ঘটছে বলে অভিযোগ। এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় ফাঁক দেখা দিচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বেবি বিশ্বাসের সঙ্গে কলকাতায় আর কারও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা জানার জন্য আরও তদন্ত চালানো হবে। তাঁর ফোন রেকর্ড এবং গেস্ট হাউসের মালিকের সঙ্গে কথা বলেও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই ঘটনা নতুন করে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে। পাশাপাশি, শহরে বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়েও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা চলছে।