পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার

কলকাতা শহরের পার্ক স্ট্রিটের (Park Street) মারকুইস স্ট্রিট এলাকায় একটি হোটেল (hotel) থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে (Bangladeshi Citizen) শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার (Arrested) করেছে পুলিশ। বেআইনিভাবে…

Arrested accused teacher

কলকাতা শহরের পার্ক স্ট্রিটের (Park Street) মারকুইস স্ট্রিট এলাকায় একটি হোটেল (hotel) থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে (Bangladeshi Citizen) শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার (Arrested) করেছে পুলিশ। বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগে ধৃত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জাল পাসপোর্ট এবং ভুয়ো পরিচয় দেখিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত বাংলাদেশির (Bangladeshi) আসল নাম সেলিম মাতব্বর। সেলিম মাতব্বর দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়ো পরিচয়ে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি, নিজের আসল পরিচয় গোপন করে তিনি একটি হোটেলে রবি শর্মা নামে কাজ করছিলেন। পুলিশের দাবি, সেলিমের কাছে একটি ভুয়ো পাসপোর্ট (Fake Passport) উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তাঁর নাম ‘রবি শর্মা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

   

এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তারা খতিয়ে দেখছে, সেলিম ভারতে আসার জন্য কীভাবে ভুয়ো পরিচয় তৈরি করেছিলেন এবং কীভাবে তিনি দেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে যে, সেলিম মাতব্বর বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করে বিভিন্ন জায়গায় এই পাসপোর্ট এবং ভুয়ো পরিচয় দিয়ে কাজ করেছেন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, সেলিমের ভারতে আসার পিছনে কিছু সংগঠিত চক্রের হাত থাকতে পারে। তাই, পুলিশের একটি বিশেষ দল এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে। তাঁরা জানতে চাচ্ছেন, সেলিম কীভাবে এবং কোথা থেকে এই জাল পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছিলেন এবং এর সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত কিনা।

ধৃত সেলিমকে পুলিশ বর্তমানে হেফাজতে রেখেছে এবং তাঁকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আদালতে পেশ করা হতে পারে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, সেলিমের ভারতে আসার উদ্দেশ্য এবং তার কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য জানতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়া, কলকাতা শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে বেআইনিভাবে প্রবেশকারী এবং জাল পাসপোর্টের মাধ্যমে কাজ করা বিদেশি নাগরিকদের ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। তাদের ধারণা, এই ধরনের চক্রগুলি দেশে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারে, তাই কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে।

সেলিম মাতব্বরের গ্রেপ্তার কলকাতা শহরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগগুলোর নতুন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে, এবং পুলিশ আশাবাদী যে, এই তদন্তের মাধ্যমে আরও বড় একটি চক্রের সন্ধান পাওয়া যাবে।