রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে (UN Peacekeeping Force) বাংলাদেশে (Bangladesh) পাঠানোর জন্য ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে কূটনৈতিক বিতর্কে জড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া বার্তা দিল ঢাকা।
বাংলাদেশে “সংখ্যালঘু নিপিড়ন” ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম মেনে যদি বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী ( UN Peacekeeping Force) পাঠানো যায়, তাহলে সেই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তিনি অনুরোধ জানাচ্ছেন। তবে মমতার এমন দাবির পরেও ভারত সরকার নীরব।
মমতা ব্যানার্জি কেন বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রসঙ্গ আনলেন এই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন মমতার এই বক্তব্য রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সঠিক পদক্ষেপ নয়।
বাংলাদেশের অন্যতম সংবাদপত্র ‘ইত্তেফাক’ জানাচ্ছে সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ উপদেষ্টা বলেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এটা তার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নয়। রাজনীতিবিদরা তো সবসময় রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বক্তব্য দিয়ে থাকেন। উনি (মমতা) এই বক্তব্য কেন দিলেন এটা আমি বুঝতে পারছি না। আমার মতে, এটা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির জন্য হয়তো সহায়ক হবে না
মহম্মদ তৌহিদ হোসেন আরও বলেছেন, ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) পরবর্তী পর্বে যোগ দিতে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফর করার কথা। ভারতের সঙ্গে দিনকে দিনকে সম্পর্ক টানাপোড়নকে কেন্দ্র করে এফওসি হওয়া নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তায় দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ ঠিক রেখে আমরা ভারতের সঙ্গে একটা স্বাভাবিক, ভালো সুসম্পর্ক চাই। আমি মনে করি, ভারত-বাংলাদেশ উভয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নেবে নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী।