Bangladesh Border: আন্তর্জাতিক সীমান্তে গুলি চালানোর হুঁশিয়ারি বাংলাদেশের

নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সীমান্তে বেচাল দেখলেই সরাসরি গুলি চালানোর হঁশিয়ারি দিল বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার। তীব্র আলোড়ন ছড়াতে শুরু করেছে। প্রতিবেশি দেশের সরকারকে এমন হুঁশিয়ারি দেওয়ায়…

bangladesh army

নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সীমান্তে বেচাল দেখলেই সরাসরি গুলি চালানোর হঁশিয়ারি দিল বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার। তীব্র আলোড়ন ছড়াতে শুরু করেছে। প্রতিবেশি দেশের সরকারকে এমন হুঁশিয়ারি দেওয়ায় কূটনৈতিক বিতর্ক বড় আকার নিতে চলল বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisements

আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় মানব পাচার, মাদক চোরাচালান, আগ্নেয়াস্ত্র পাচার রুখতে বাংলাদেশ সরকার কড়া ভূমিকা নিতে চলেছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মঙ্গলবার সিলেটে এক অনুষ্ঠান থেকে প্রতিবেশি মায়ামমারের সামরিক সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, চোরাচালান রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি চালানো হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে গুলি চালাব।

বিজ্ঞাপন

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠান হয়। এখানে ছিলেন ভারতের হাইকিশনার বিক্রম দেরাইস্বামী। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানান,  আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কখনও গুলি চালাব না। এখন থেকে গুলি চালাব।

bangladesh army

বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি দেশ ভারত ও মায়ানমারের আন্তর্জাতিক সীমান্ত। এর মধ্যে মায়ানমারের সঙ্গে ২৭০ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত। বাকি ৯৪ শতাংশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত ভারতের সঙ্গে।

বাংলাদেশ সরকারের দাবি, মায়ানমার থেকে সীমান্তবর্তী চট্টগ্রাম বিভাগ দিয়ে মাদক, মানব পাচার ও অস্ত্র চোরাচালান হয়। বারবার সেদেশের সরকারকে জানিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কড়া ভূমিকা নেবে ঢাকা।

মায়ানমার এখন সামরিক শাসনে। বাংলাদেশ সরকারের ‘গুলি চালানো’ হুঁশিয়ারির পর বর্মী সেনা পরিচালিত সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অন হ্লাইং ( Min Aung Hlaing ) কী প্রতিক্রিয়া দেন তার দিকে তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল। তাঁর হুকুমেই চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের নির্বাচিত সরকারের সর্বচ্চো নেত্রী আউং সান সু কি সহ মন্ত্রীদের বন্দি করা হয়। সামরিক অভ্যুত্থানের পর বর্মী সেনা ক্ষমতা দখল করেছে।

অন্যদিকে সু কি আমলেই মায়ানমারে হয়েছে রোহিঙ্গা গণহত্যা। লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগে ঢুকেছেন। তাদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমার সরকারকে বারবার বলেছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা শিবিরে মাদক, অস্ত্রের চোরাচালান হচ্ছে বিস্তর। সম্প্রতি রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ খুন হন। এর জেরে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত।