Bangladesh: ‘জামাতে ইসলামি ক্ষমতায় থাকলেও এত হিন্দু নির্যাতন হত না’, তসলিমার বিতর্কিত পোস্ট

নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপূজায় পরপর মন্দিরে হামলা, তান্ডব ও মৃত্যুর জেরে বিতর্কের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে ফেসবুক পোস্টের ছত্রে ছত্রে বাংলাদেশ সরকার, সে দেশের প্রধানমন্ত্রী…

Taslima Nasrin

short-samachar

নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপূজায় পরপর মন্দিরে হামলা, তান্ডব ও মৃত্যুর জেরে বিতর্কের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে ফেসবুক পোস্টের ছত্রে ছত্রে বাংলাদেশ সরকার, সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রবল আক্রমণ করলেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের (Taslima Nasrin)। তিনি এখন ভারতে আছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু অংশ তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পোস্ট ভিত্তিতে প্রকাশ করেছে www.ekolkata24.com

   

তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, “আফগানিস্তান, পাকিস্তান, জিহাদিস্তান । জিহাদিস্তানের অফিসিয়াল নাম এখনও অবশ্য বাংলাদেশ। এই তিন স্তান সমানে সমান পাল্লা দিয়ে চলছে। যুগ যুগ ধরে পরিকল্পিত ভাবে হিন্দু নির্যাতন চলছে জিহাদিস্তানে। গত তিন দিনে এই নির্যাতন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারের। সম্পূর্ণ দোষ কওমি- কাম-জিহাদি মাতা হাসিনার। তিনিই দেশে জিহাদি পয়দা করেছেন। তিনিই দেশে হিন্দুর নিরাপত্তা নষ্ট করেছেন। বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির শাসনামলেও এত হিন্দু নির্যাতন হয়নি, যত হয়েছে হাসিনার আওয়ামি লীগের আমলে। মনে হয় জামাতে ইসলামি ক্ষমতায় থাকলেও এত হিন্দু নির্যাতন হতো না।”

তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বাংলাদেশে ফের বিতর্ক চরমে। কারণ, এই পোস্টে তিনি সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে পুরো দায়ি করেছেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও এমন মন্তব্য করেছেন যা বিতর্ক আরও উস্কে দিল।

তসলিমা তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, “হিন্দুদের দোষ দিয়ে দেশ জুড়ে হিন্দুদের অবাধে নির্যাতন করার উদ্দেশে হিন্দু দেবদেবীর কোলে কোরান রেখে এসেছে মুসলমানেরা, কোরানের ভেতর মাদকদ্রব্য ঢুকিয়ে পাচার করে রোহিঙ্গা মুসলমানেরা। এই কোরান অবমাননাকারী মুসলমানদের বিরুদ্ধে জিহাদিরা কোনও আওয়াজ ওঠায় না। অথচ কোরান অবমাননা করেছে হিন্দুরা, এই মিথ্যে দোষ দিয়ে হিন্দুর ঘর বাড়ি মন্দির ভেংগে ফেলা হয় । এসব কি হাসিনা জানেন না? সব জানেন। জেনেও তিনি হিন্দুদের কোনও নিরাপত্তা দেন না। বিশ্বকে বোকা বানাতে দু’একটা হিন্দুনির্যাতক জিহাদিকে গ্রেফতার করার ব্যবস্থা করবেন হাসিনা, তারপর দুদিন পর তাঁর সবকটা সন্তানকে চুপচাপ মুক্তি দিয়ে দেবেন।
এভাবেই চলছে হাসিনার জিহাদিস্তান।”