‘মন্ত্রীর নির্দেশেই মা ও স্ত্রীকে ডিরেক্টরের পদে বসাই’ বিস্ফোরক জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন PA অভিজিৎ

রেশন বন্টন দুর্নীতিকাণ্ডে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন PA অভিজিৎ দাস। রেশন বন্টন দুর্নীতি ইডির নজরে রয়েছে ৩ টি ভুয়ো সংস্থা। সোমবার অভিজিৎ দাবি করেন…

রেশন বন্টন দুর্নীতিকাণ্ডে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন PA অভিজিৎ দাস। রেশন বন্টন দুর্নীতি ইডির নজরে রয়েছে ৩ টি ভুয়ো সংস্থা। সোমবার অভিজিৎ দাবি করেন সেই সংস্থাগুলির ডিরেক্টর পদে মন্ত্রীর নির্দেশেই মা ও স্ত্রীকে ডিরেক্টর পদে বসিয়েছিলেন তিনি। রেশন বন্টন দুর্নীতিতে একাধিকবার ইডির জেরার মুখে পড়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসকে। তল্লাশি চলাকালীন তার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় মেরুন ডায়েরি। সেই ডায়েরিতে লেখা ছিল ’বালুদা’র নাম। ইডি দাবি করেছে যে ডায়েরিতে উল্লেখ করা নাম রাজ্যের মন্ত্রীরই। প্রসঙ্গত, এই নামেই পরিচিত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

ইডির তরফ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে যে রেশন বন্টন দুর্নীতিতে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। মূলত তিনটি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ৩টি ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন একাধিক মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ। ইডির দাবি অনুযায়ী তিনটি ভুয়ো সংস্থা হল শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে ওই সংস্থাগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত ৮ কোটি টাকা নগদে জমা পড়ে এবং সব মিলিয়ে ২০ কোটি টাকারও বেশি কালো টাকা সাদা করা হয়।

জানা যাচ্ছে এই তিন সংস্থারই ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিজিৎ দাসের মা মমতা দাস ও স্ত্রী সুকন্যা দাস। জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক বিস্ফোরক দাবি করেন যে ওই সংস্থাগুলিতে ডিরেক্টর হয়েছিলেন মন্ত্রীর কথাতেই। জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক দাবি করেন মন্ত্রী বলেছিলেন বলেই তাঁর স্ত্রী ও মাকে ওই ৩ সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি মন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের কাজের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেওয়ার পরই তাঁর মা ও স্ত্রী ওই সংস্থাগুলির ডিরেক্টরের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন অভিজিৎ। অভিজিতের দাবি, মন্ত্রীর ব্যবসার কাজে সাহায্য হবে বলেই ওই পদ নেওয়া বলেও দাবি করেন তিনি। প্রাক্তন পিএ-র আরও দাবি, ওই সংস্থাগুলি থেকে কোনও টাকা তাঁর স্ত্রী বা মায়ের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি।