Anubrata Mondal: দুঁদে সিবিআই গোয়েন্দা ঘেরাটোপে মমতার ‘কেষ্ট’, চলছে জেরা

সিবিআইয়ের প্রশ্নবাণের মুখোমুখি কেষ্ট। গোরু পাচার মামলায় তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে রেখে সিবিআই দুঁদে গোয়েন্দারা প্রশ্ন শুরু করেছেন। আইনজীবীদের শেখানো বুলি…

anubrata mondal

সিবিআইয়ের প্রশ্নবাণের মুখোমুখি কেষ্ট। গোরু পাচার মামলায় তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে রেখে সিবিআই দুঁদে গোয়েন্দারা প্রশ্ন শুরু করেছেন। আইনজীবীদের শেখানো বুলি আউড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রিয় কেষ্ট।

কী হয় কী হয় পরিস্থিতি। তবে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সমর্থকরা মনে করছেন, বাবা পাহাড়েশ্বরের কৃপা আছে শিবভক্ত কেষ্টদা’র কিছু হবে না। বুধবার যেভাবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় দলীয় মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করে ছেড়ে দিয়েছে সিবিআই এবারও তেমনই হবে।

Anubrata Mondal: দুঁদে সিবিআই গোয়েন্দা ঘেরাটোপে মমতার 'কেষ্ট', চলছে জেরা

সিবিআই সূত্রে খবর ৭ পাতার প্রশ্নপত্রে ৩৬ টি প্রশ্ন অনুব্রত মণ্ডলকে করবেন আধিকারিকরা। সেই প্রশ্নের সমস্ত উত্তর পাওয়ার পর আবার প্রশ্নের তালিকা তৈরি করা হতে পারে।

সিবিআই সূত্রে খবর, সীমান্ত এলাকায় গোরুপাচারের সঙ্গে যারা যুক্ত তাঁদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের কী যোগ রয়েছে? অনুব্রত মণ্ডল তাদেরকে চেনেন কি না? গরু পাচার চক্রে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে কী না। অথবা গোরুপাচারের সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে অনুব্রতর যোগাযোগ রয়েছে কী না তা জানতে চাইছে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।

সিবিআই সূত্রে খবর, বীরভূমের ইলামবাজারের গোরুর হাট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা স্থানীয় নেতাদের পকেটে চলে যেত। সেটা কোনওভাবে অনুব্রতর কাছে পৌঁছাত কি না সে বিষয়েও অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে যে সমস্ত তথ্য হাতে এসেছে সেই সমস্ত কিছু নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।

Advertisements

Anubrata Mondal: দুঁদে সিবিআই গোয়েন্দা ঘেরাটোপে মমতার 'কেষ্ট', চলছে জেরা

গত বছর এপ্রিল মাসে প্রথমবার গোরু পাচারকাণ্ডে প্রথমবার তলব করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। চলতি বছরেও ৬ এপ্রিল মাসে সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বের হলেও এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। এরই মধ্যে তিনি সিবিআইকে জানিয়ে এন সিবিআই চাইলে হাসপাতালে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।

দুই সপ্তাহ পর অনুব্রত যেদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান, তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে অনুব্রতকে জোড়া তলব সিবিআইয়ের। তিনি জানিয়ে দেন চিকিৎসকদের পরামর্শে ২১ মে এর আগে হাজিরা দিতে পারবেন না। সেই কথা রাখলেন বীরভূমের কেষ্ট। ১৩ মাস পর সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হয়েছেন তিনি।