ট্যাংরা কাণ্ডের ধৃত প্রমোটরদের জেল হেফাজতের নির্দেশ

ট্যাংরায় অবৈধ আবাসনের দুই ধৃত প্রোমোটার কে আপাতত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আজ এই মামলার শুনানি ছিল আর তাতেই বিচারক রেশমি দে…

ট্যাংরায় অবৈধ আবাসনের দুই ধৃত প্রোমোটার কে আপাতত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আজ এই মামলার শুনানি ছিল আর তাতেই বিচারক রেশমি দে পোই দুই প্রোমোটারকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২১ এ ফেব্রুয়ারী অব্দি তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্যাংরায় ১১/২ এর সাদা বহুতলের প্রোমোটার ছিলেন সুরজিৎ মান্না এবং পাশাপাশি সবুজ বহুতলের প্রোমোটার ছিলেন রজত লি।

দুটি আবাসন হেলে পড়ার ঘটনার পরেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন দুজন প্রোমোটার। পরে একজন ধরা পড়েন বকখালীর ফ্রেজারগঞ্জ এলাকা থেকে এবং আর একজন গ্রেপ্তার হন কলকাতায় বাসন্তী এলাকা থেকে। বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় কারুর মৃত্যু হয়নি ঠিক ই তবে আবাসিকরা কার্যত ভয়ে ভয়ে দিন কাটিয়েছেন। এর কিছুদিন পর কলকাতা পুরসভা ওই বহুতল ভাঙার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই বহুতল ভাঙার কাজ শুরু হতে কিছুটা সময় লাগে, কারণ বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান এবং পুরকর্মীদের সঙ্গে তাদের তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। দীর্ঘ সময় কথা কাটাকাটির পর পুরসভা অবশেষে ভাঙার কাজ শুরু করে।

   

এই বেআইনি বহুতলটির নির্মাণের বিষয়টি কলকাতা পুরসভায় দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় ছিল। প্রথমে, ওই বহুতলটি নির্মাণ করা হলেও তা বেআইনি হিসেবে চিহ্নিত হয়, কারণ প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি। বাড়িটি নির্মাণের পর, সেখানকার বাসিন্দারা নিয়মিতভাবে স্থিতিশীল পরিবেশে বাস করছিলেন, কিন্তু চলতি বছরে সেখানকার নির্মাণ এবং অন্য বেশ কিছু বেআইনি কাজের কারণে পুরসভা এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। পুরকর্মীদের ভাঙার কাজ শুরু করতে গিয়ে বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ দেখা যায়। তারা জানিয়েছিল, দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতে বসবাস করছে এবং তাদের কোনও বিকল্প জায়গায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়নি।

পুরসভা এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ধরনের বেআইনি নির্মাণ রোধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের আওতায়, এই ধরনের সমস্যায় পড়া মানুষদের সহায়তা করা হবে এবং সরকারের তরফ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা থাকলেও, প্রশাসন এবং পুরসভা আশ্বাস দিয়েছে যে তারা অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়ে গরীব এবং অসচ্ছল মানুষদের সহায়তা করবে।