জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে হওয়া মামলায় অর্মত্য সেনের (Amartya Sen) পক্ষে গেল আদালতের রায়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগে অর্মত্য সেনকে নোটিসও দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবার আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়ে গেল সেই নোটিস। বুধবারই সেই রায় দিয়েছে সিউড়ির জেলা আদালত। ফলে জমি বিতর্কে কিছুটা স্বস্তি পেলেন অর্থনীতিবিদ। নোটিস বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্মত্য সেনের আইনজীবী।
বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা অর্মত্য সেন দখল করে আছেন, এই মর্মেই নোটিস জারি করেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই নোটিস বাতিলের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অর্মত্য সেন। সেই মামলায় এদিন রায় দেন সিউড়ির জেলা আদালতের বিচারক।
বিশ্বভারতীর তরফে অমর্ত্য সেনকে নোটিস দিয়ে জমি খালি করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল গত বছর। সেই সময় বিশ্বভারতীর উপাচার্য ছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদিন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী বলেন, “আমরা জিতে গিয়েছি। অমর্ত্য সেনকে আর জায়গা ছাড়তে হবে না। বিচারকও এদিন উল্লেখ করেছেন, ওই নোটিসের কোনও ভিত্তি ছিল না।”
উল্লেখ্য, এর আগে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। গত বছর ৬ মে-র মধ্য়ে তাঁকে ১৩ ডেসিমেল জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় আপাতত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। শান্তিনিকেতনে ১.৩৮ একর জায়গার ওপর রয়েছে অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ি। সেখানেই দীর্ঘ ৮০ বছর ধরে সেখানেই বসবাস করছে তাঁর পরিবার। বাড়িটি তৈরি করেছিলেন তাঁর বাবা আশুতোষ সেন। সেই জমি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয় বিশ্বভারতীর অভিযোগের জেরে।