তোলা না দেওয়ার অপরাধে চলল গুলি করল ‘কুণাল’! কৃষ্ণনগরে ভরদুপুরে গুণ্ডারাজ

মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তোলা না পাওয়ায় গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। শুধু গুলিই না গুলি চালানোর পরেও বেধড়ক মারধরের ঘটনা সামনে এসেছে। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে সেই…

krishnanagr

মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তোলা না পাওয়ায় গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। শুধু গুলিই না গুলি চালানোর পরেও বেধড়ক মারধরের ঘটনা সামনে এসেছে। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে সেই গুণ্ডাগিরির ছবি সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে নিগ্রহের এই ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার, নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের গোয়ারিবাজারে। যে দু’জনকে মারধর এবং হেনস্থা করা হচ্ছিল, তাঁরা মাছবিক্রেতা। দু’জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে।

‘রাজনীতিতে সকলের সাহস থাকে না’, ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ বিরোধী শুভেন্দুকে সমর্থন তথাগত’র

   

কৃষ্ণনগরের নগেন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা সমীর ঘোষ এবং বিশ্বনাথ ঘোষ নামের দুই ভাই মাছের ব্যবসা করেন। প্রতি দিনের মতো শুক্রবার ভোরে তাঁরা স্থানীয় পাত্রবাজারে বিক্রি করার জন্য গোয়ারিবাজারে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, হঠাৎ ওই এলাকার কিছু দুষ্কৃতী তাঁদেরকে ঘিরে ধরে এবং টাকা দাবি করে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে কুণাল হালদার নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ওই যুবক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেন। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব কুণালের সঙ্গে দলের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন।

মমতার কড়া সিদ্ধান্তেই জোগান বাড়িয়ে সস্তা হচ্ছে আলু ?

জানা গিয়েছে যে, টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি সময় তাঁর কাছে বিপুল অর্থ দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। তা দিতে রাজি না হওয়ায় সোজা গুলি চালানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জখম বিশ্বনাথ শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি। চিৎকার-চেঁচামেচি এবং গুলির আওয়াজ শুনে ওই বাজারের অন্য মাছ ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ। হাসপাতালে গিয়ে ওই দুই মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলে তারা। ঘটনার বিবরণ জানতে চাওয়া হয়। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকে আটক কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ”এ রাজ্যে এখন মস্তানতন্ত্র চলছে। সারা রাজ্যে ছেয়ে গিয়েছে এসব। তাই তো কথায় কথায় এখানে গুলি চলে।” এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অয়ন দত্ত বলেন, ” মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছেন। আমরা বিষয়টি দেখছি। এলাকায় যেন এরকম ঘটনা না বরদাস্ত করা হয় সেটাই আবেদন প্রশাসনের কাছে।”