মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন কিন্তু ক্ষমা চাইবেন না। হুঁশিয়ারির সুরে অখিল গিরি (Akhil Giri) জানালেন যে, ‘ ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই। আমি আমার জীবনে কোনও সরকারী আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাইনি।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আজকেই মেল করে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছে। কার্যত দলের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনেই দলকে কাদায় ফেলেছেন। তিনি দলের ‘বিবেকবান’ নীতিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। এক মহিলা বনবিভাগের কর্মীকে কটূ কথায় বলার পর থেকেই শুরু হয় ঘটনার ঘনঘটা। তমলুকে দখলদার উচ্ছেদ করতে গিয়ে অখিল গিরির ‘অভব্য আচরণের’ মুখে পড়েন এক মহিলা বন আধিকারিক। তার জল গড়াল প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত। ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছিল, অখিলের ইস্তফা চাইছিল দলই। সোমবার বিধানসভাও অখিল গিরি ইস্যুতে তপ্ত হতে পারত, সেই আঁচ মিলছিল। তার আগেই রবিবার অখিলের কাছে যায় সাংসদ সুব্রত বক্সীর ফোন। মিনিট পনেরোর কথা হয়। জানা যায়, ফোনে বলা হয়, ‘নিঃশর্ত ক্ষমা চান, পদত্যাগ করুন’। বেলা আড়াইটে নাগাদ যায় ফোন। তিনটের মধ্যেই অখিল গিরি ঘোষণা করে দেন, সোমবারই পদত্যাগ করবেন তিনি।
‘সরকার গদি ছাড়’ দাবিতে অশান্ত বাংলাদেশ, জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকে শেখ হাসিনা
শুধু তাই নয়, অখিল গিরির আরও বক্তব্য যে, ‘ আমি একেবারেই অনুতপ্ত নয়।’ তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানান যে, ‘ অখিলি গিরির মন্তব্য দল অনুমোদন করে না’অখিল গিরি সংবাদমাধ্যকে আরও জানিয়েছেন যে, ‘আমি দলের নির্দেশ মানব। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে পদত্যাগ করার জন্য সুব্রত বক্সীকে বলেছিলেন। সুব্রত বক্সী আমাকে ফোন করে সে কথা বলেন। আমি পদত্যাগ করব। পদত্যাগপত্র আমি ইতিমধ্যেই লিখে ফেলেছি। আমি কালকেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দিয়ে দেব। দল কঠোর হলে হবে। অসহায় মানুষগুলোর পাশে রয়েছি। যাতে কোনওভাবে বঞ্চিত না হয় ওরা।’
শনিবার কাঁথির মহিলা বন আধিকারিককে প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন অখিল। ‘জানোয়ার’, ‘বেয়াদব’ জাতীয় শব্দও তাঁর উদ্দেশে ব্যবহার করতে শোনা গিয়েছিল কারামন্ত্রীকে। ওই ঘটনার পর তিনি জানিয়েছিলেন, এ হেন আচরণের জন্য তিনি বিন্দুমাত্রও অনুতপ্ত নন। এর পরেই অখিলের বক্তব্য নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। পাশে থাকেনি তাঁর দলও।