শান্তি ফেরাতে হজরতের পথে চলুন, বাংলাদেশ নিয়ে বার্তা সংখ্যা লঘু সেলের

নিউজ ডেস্ক: দেড় হাজার বছর আগে হজরত মহম্মদের দেখানো পথে পা চলুন। তাহলেই সমস্যা থাকবে না। নবী দিবসে উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এমন ভাবেই উঠে এসেছিল…

AIMIM

নিউজ ডেস্ক: দেড় হাজার বছর আগে হজরত মহম্মদের দেখানো পথে পা চলুন। তাহলেই সমস্যা থাকবে না। নবী দিবসে উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এমন ভাবেই উঠে এসেছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে।

হুগলির বৈদ্যবাটির কাজিপাড়াতে সন্ধ্যাকালিন সভা ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষ্যে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন শ্রীরামপুরের সংসদের সভানেত্রী রুনা খাতুন। তিনি বলেন, “কেউ কেউ ধর্মের রাজনিতি করেন। আমরা ধর্মের রাজনীতি করি না। এটা বাংলা এখানে সব ধর্মের মানুষ আমরা মিলে মিশে থাকি।বাজারে গিয়ে আমরা কৈ এমনতো বলিনা ‘এই সব্জী তুই কোন জমির? রামের না রহিমের’ কারন হিন্দুর জমির ফসল মুসলমান খায় আবার মুসলমানের জমির ফসল হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ জন। এটাই আমাদের বাংলার কৃষ্টি, কালচার।’ এরপরেই মূল বক্তব্য রাখেন অলবেঙ্গল মাইনোরিটি এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি আবু আফজাল জিন্না।।

তিনিই বলেন, ‘প্রফেট হজরত মহাম্মদ (সঃ) সল্লালালহ অসাল্লাম প্রায় দেড় হাজার বছর আগে যে মানবিকতা, সামাজিকতা দেখিয়ে গিয়েছেন, তা যদি আমরা আজকের দিনে মেনে চলি কোনওরকম অশান্তি হবে না।নবিজি কখনই বলেননি অপর ধর্মের মানুষের প্রতি ঘৃণা করো, এগুলো এক শ্রেণীর দু পেয়ে অমানুষরা করে। তিনি শিখিয়ে ছিলেন মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, দয়া, মায়া, ভালোবাসা রাখা। সব ধর্মের ছাত্র ছাত্রী ও সব ধর্মের মানুষ এক সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই অনুষ্ঠান আমরা করলাম। এটাই বাংলা।”

পাশাপাশি ওই দিন পিস সোসাইটির উদ্যোগে বৈদ্যবাটি কাজীপাড়া ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সম্বর্ধনা ও শীতবস্ত্র প্রদান ও সম্প্রীতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন এলাকার হাজি সাহেব গণ, বিশিষ্ট সমাজসেবী আবু আফজাল জিন্না সাহেব, উপস্থিত ছিলেন হুগলি ও শ্রীরামপুর লোকসভার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মাননীয়া রুনা খাতুন মহাশয়া, বৈদ্যবাটি পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তথা হুগলি জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক মাননীয় সুবীর ঘোষ, শেওড়াফুলি বৈদ্যবাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মাননীয় প্রবীর পাল। উপস্থিত ছিলেন অল বেঙ্গল কনট্রাস্ট সিকিউরিটি ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মাননীয় অপূর্ব বন্দোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা নেত্রী ও বিশিষ্ট সমাজসেবী অঞ্জনা মৈত্র এবং শেওড়াফুলি বৈদ্যবাটি ছাত্র পরিষদের নেতা অরূপ মাজি এবং পিস সোসাইটির কর্মকর্তা শেখ বাবুয়া, কাজি মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ মামুদ।