একটানা বৃষ্টিতে নাস্তানাবুদ আম জনতা। এরই মধ্যেই যোগ্য অধিকারের জন্য প্রাণপন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন হবু শিক্ষকরা৷ শরীর ঢাকতে একটা ত্রিপল যথেষ্ট। সেটার মধ্যেই সকলে মিলে মাথা গুঁজে দীপ্ত কন্ঠে আওয়াজ তুলে চলেছেন নিজের অধিকারের দাবিতে।
তিন দফায় দিন সংখ্যা ৪৬৯৷ গান্ধী মুর্তির পাদদেশে লাগাতার আন্দোলন জারি রেখেছেন মেধা তালিকায় নাম থাকা চাকরীপ্রার্থীরা। সরকারের বেআইনি নিয়োগ এবং শাসক দলের বেলাগাম দুর্নীতির কোপে চাকরি হারিয়ে ওই স্থানটুকু ঠাঁই নিয়েই আন্দোলন জারি রেখেছেন তাঁরা।
অভিযোগ, আন্দোলনরত হবু শিক্ষকদের বক্তব্য, ২০১৯ সালে প্রেস ক্লাবের সামনে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি সম্পর্কে অবগত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৯ দিন ধরে অনশন চলার পর তাঁদের চাকরীর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। কথা দিয়েছিলেন মেধাতালিকাভুক্ত সকল প্রার্থীর চাকরি তিনি সুনিশ্চিত করবেন। তাঁর ওপর ভরসা রাখতে। তিনি কথা দিলে কথা রাখেন। হবু শিক্ষকদের বক্তব্য,প্রথম দফায় ডাক পেলেও স্কুল সার্ভিস কমিশন নম্বর ভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করেনি৷
১:১.৪ অনুপাতে নিয়োগের গেজেটকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। মেধাতালিকায় সামনের দিকে নাম থাকলেও নিয়োগ পাননি বহু প্রার্থী। বরং তালিকায় নাম জুড়েছে মেধা তালিকায় পিছনে থাকা প্রার্থীদের৷ অভিযোগ, অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।
সেই অভিযোগ তুলে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের তিন বার বৃহত্তম অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন করতে হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে প্রেসক্লাবের সামনে ২৯ দিনের অনশন, ২০২১সালের জানুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে ১৮৭ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন। এরপর গত বছরের ৮ ই অক্টোবর থেকে ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য চলছে ধর্ণা।
চলতি বছরেই নিয়োগের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবার নিয়োগ না হওয়া অবধি আন্দোলন মঞ্চ ছাড়তে নারাজ মেধা তালিকাভুক্ত চাকরী প্রার্থীরা।