মিজোরামে নির্মাণাধীন ব্রিজ ভেঙে মৃত্যু বহু। এই দুর্ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগ পশ্চিমবঙ্গের। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নিহতরা বেশিরভাগই মালদার বাসিন্দা। জেলা প্রশাসনিক মৃতদের বাড়িতে যোগাযোগের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় অনেকের মৃত্যু রয়েছেন মালদহের কয়েকজন। মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি। পরিবারকে সব রকমের সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব মিজোরামের মুখ্য সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। উদ্ধার করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে। এছাড়াও মালদা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে যে পরিবারের সদস্যরা মিজোরামে কাজ করতে গিয়েছিল যারা আহত হয়েছে বা মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
মিজোরামের নির্মীয়মান এই ব্রিজ তৈরির কাজে নিযুক্ত ছিলেন মালদার বেশ কয়েকজন শ্রমিক। যেখানে বহু মানুষ আহত নিহত হয়। মালদা জেলার পু়খুরিয়া থানার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন শ্রমিকরা। সুদূর মিজোরাম থেকে তাদের মৃত্যুর খবর এসেছে মালদায়। স্তম্ভিত জেলা প্রশাসন। জানা গেছে, নিহতদের ১১ জনই পুখুরিয়া থানা এলাকার কাকলামারির চৌদুয়ার গ্রামের বাসিন্দা।
মিজোরামের ঘন জঙ্গলে ভেঙে পড়া ব্রিজের নিচে পড়ে শ্রমিকদের দেহ। রাজধানী আইজল থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে সাইরাং এলাকায় নির্মাণাধীন রেলওয়ে সেতু ভেঙে পড়ার পর অন্তত ১৭ জন শ্রমিক নিহত। ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকার মধ্যে দিয়ে ১০৪ মিটার উঁচু এই রেল সেতু বানানো নিয়ে প্রযুক্তির সাফল্য বলে বারবার দাবি করেছিল বিজেপি নেতৃত্বে এনডিএ সরকার। উচ্ছসিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বলা হয়েছিল, সেতুটি দিয়ে রেল যোগাযোগে দুর্গম উত্তর পূর্বাঞ্চলকে নতুন দিশা দেখানো হল। সম্পূর্ণ তৈরি হওয়ার আগে এদিন সেই সেতু ভেঙে পড়ে।